পোশাক খাত নিয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তারা

কারখানা সামর্থ্যবান নয় বলে সংস্কারে বাধ্য করা কঠিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্প-কারখানায় ধারাবাহিক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে শুরু হয় দেশের পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ শ্রম নিরাপত্তা মূল্যায়ন কার্যক্রম। সময় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের পাশাপাশি মূল্যায়ন কর্মসূচি পরিচালনায় নেয়া হয় জাতীয় উদ্যোগও। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় উদ্যোগের আওতায় থাকা কারখানাগুলো সবচেয়ে দুর্বল। তারা সামর্থ্যবান নয় বলেই তাদের সংস্কারকাজে বাধ্য করা কঠিন। গতকাল এক মতবিনিময় সভায় এমন মত প্রকাশ করা হয়।

গতকাল শ্রম ভবনে তৈরি পোশাক কারখানায় সংস্কারকাজ বাস্তবায়নে আরসিসি: উত্তরণের পথে শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রিমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেলে ন্যস্ত কারখানাগুলোর ক্যাপ বাস্তবায়ন (প্রথম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রমকে আরো সময়োপযোগী অধিক কার্যকর এবং চলমান সংস্কারকাজকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, টাস্কফোর্সের বিশেষজ্ঞ সদস্য, বিজিএমইএর প্রতিনিধি এবং প্রকল্পের প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে দিনব্যাপী মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভাটি দুটি অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে রিমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেলে ন্যস্ত কারখানাগুলোর ক্যাপ বাস্তবায়ন (প্রথম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পে নিয়োগকৃত ৬০ জন প্রকৌশলীর সঙ্গে পরিচিতি মতবিনিময় করা হয়।

সভায় রিমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেলের প্রকল্প পরিচালক একেএম সালেহউদ্দিন তার স্বাগত বক্তব্যে আরসিসির সার্বিক কার্যক্রমের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক . মেহেদী আহমেদ আনসারী . জিয়াউর রহমান, কল-কারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন, বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক কার্যালয়ের প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক আবুল খায়ের মো. আক্কাস আলী, বিজিএমইএর প্রতিনিধি জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আমন্ত্রিত অতিথিরা। প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আলী আজম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন