ডিজেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে ব্যবস্থা —বিপিসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে মুহূর্তে জ্বালানি তেলের কোনো সংকট নেই। প্রতিটি ডিপোতে যথেষ্ট পরিমাণ তেল মজুদ আছে, রয়েছে চাহিদা মোতাবেক ডিজেল সরবরাহের সক্ষমতা। তবে কেউ মজুদ করে ডিজেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান সামছুর রহমান। গতকাল বিপিসির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দেশে ডিজেলের সংকট হচ্ছে, দাম বেড়ে যাচ্ছে এমন গুজবের প্রেক্ষাপটে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে ডিজেলের সংকট হচ্ছে, দাম বেড়ে যাচ্ছে এমন গুজবে কান দেবেন না। আজও চট্টগ্রামে দুটি জাহাজ থেকে তেল খালাস করা হচ্ছে। আগামীকালও দুটি জাহাজ থেকে তেল খালাস করা হবে। সুতরাং ঘাটতির কোনো সম্ভাবনাই নেই।

তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ১৬টি জাহাজ থেকে প্রায় লাখ ২০ হাজার টন ডিজেল আমদানি করা হবে। এছাড়া কুতুবদিয়ায় একটি লাখ ৩০ হাজার টনের তেলের মজুদ রাখা হচ্ছে, যেটি ৪০ দিন অবস্থান করবে। কোনো কারণে প্রয়োজন হলে সেখান থেকে ডিজেল সরবরাহ করা হবে।

হঠাৎ করেই ডিজেল বিক্রি বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, চলতি জানুয়ারিতে গত বছরগুলোর তুলনায় ডিজেল বিক্রি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। কী কারণে বাড়ছে, সেটি লক্ষ রাখা হচ্ছে।

জানুয়ারিতে তেল বিক্রির অস্বাভাবিকতার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বিপিসি চেয়ারম্যান। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি মাসের জানুয়ারি ডিজেল বিক্রি হয়েছে ২৭ হাজার ৫৬১ টন, তারিখে ২৯ হাজার ৪৭১ টন, ১২ তারিখে ২২ হাজার ৪৪৬ টন, ১৬ তারিখে ২৮ হাজার ৭২২ টন, ১৯ তারিখে ২১ হাজার ১২৫ টন, ২৩ তারিখে ২৭ হাজার ৩৬৮ টন ২৬ তারিখে ২৩ হাজার ৪১৯ টন তেল বিক্রি হয়। কিন্তু জানুয়ারিতে বিপিসির প্রতিদিন ডিজেল বিক্রির গড় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৪১৬ টন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন