প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে গণভবন থেকে
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দুটি পানি শোধন প্রকল্প, দুটি সেতু ও কয়েকটি ট্রেন সার্ভিসসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন
করেছেন। এ সময় এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ছাড়া একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
সাধারণ জনগণের উন্নতিই দেশের সার্বিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। তিনি আরো বলেন, দেশের সামষ্টিক উন্নয়নের জন্য শুধু রাজধানীভিত্তিক উন্নয়ন করলেই হবে না, গ্রামের তৃণমূল মানুষের উন্নয়ন করতে হবে।
গতকাল উদ্বোধনকৃত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু ও পূর্ব-তারাকান্দি-জামালপুর-ঢাকা রুটে এক জোড়া নতুন আন্তঃনগর ট্রেন, ঢালারচর-পাবনা-রাজশাহী রুটে ঢালারচর এক্সপ্রেস ও ফরিদপুর রুটে রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট
বর্ধিতকরণ এবং চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের র্যাক পরিবর্তন কার্যক্রম।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের
ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য মোবাইল অ্যাপসভিত্তিক ‘পল্লী লেনদেন’ কার্যক্রমের উদ্বোধন
করেন। উদ্বোধন করেন এলজিইডির ‘গুরুত্বপূর্ণ
নয়টি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবীনগরে তিতাস নদীর ওপর ৫৭৫ মিটার পিসি গার্ডার সেতু ও
মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার কালীগঙ্গা নদীর ওপর ৪৫৬ মিটার পিসি গার্ডার সেতু।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ
উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) আওতায় নির্মিত ‘শেখ রাসেল পানি শোধনাগার’ এবং খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ ও বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ১২ ঘণ্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার
কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই বর্তমান সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য। এ
কারণে সারা দেশে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করা
হচ্ছে। শহর ও গ্রামের মানুষকে সমান সুযোগ তৈরি করে দিতে সরকার কাজ করছে।
অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ
ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী
মো.
তাজুল ইসলাম, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম
সুজন,
সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী
প্রমুখ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবুর রহমান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের
সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং তথ্য সচিব কামরুন্নাহার
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে
বক্তৃতা করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিএমও সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব
ইহসানুল করিমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং
উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা। ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
সূচনা বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
টুঙ্গিপাড়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের উপকারভোগী, চট্টগ্রামের পানি শোধনাগারের উপকারভোগী, খুলনা পানি শোধনাগারের উপকারভোগী ও জামালপুরের রেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ভিডিও
কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন।
