চট্টগ্রামে স্বাগতিকদের দাপট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে ফের ঢাকায় ফিরছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। ঢাকায় প্রথম পর্বে যে দলগুলো দাপট দেখায়, তারাই আধিপত্য ধরে রেখেছে চট্টগ্রামে। ঢাকায় পয়েন্ট শূন্য থাকা সিলেট থান্ডার রংপুর রেঞ্জার্সও জয় পেয়েছে চট্টগ্রামে। অবশ্য সেই জয়ের পরও তলানিতেই থাকতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে ঘরের মাঠে একচ্ছত্র দাপট দেখিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শেষ ম্যাচটি না হারলে পয়েন্ট টেবিলে চট্টগ্রামের অবস্থান আরো দাপুটে হতে পারত। পাশাপাশি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবার ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল পোয়াবারো। যেখানে দেখা গেছে রান-উৎসবের একাধিক ম্যাচও।

চট্টগ্রাম যে রান-উৎসবের মঞ্চ হতে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত অবশ্য প্রথম ম্যাচ থেকেই বোঝা যায়। যেখানে রাজশাহী রয়্যালসের ১৮৯ রানের পাহাড় টপকে যায় মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। ৯৬ রান করে ম্যাচ নিজেদের পক্ষে আনেন অধিনায়ক মুশফিকই। এরপর বন্দরনগরীতে একে একে দেখা মিলেছে পাঁচটি দুই শতাধিক রানের ইনিংসের। যেখানে চারটিই আবার একই ম্যাচে। আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকা ঢাকা প্লাটুন বনাম চট্টগ্রামের ম্যাচেও দেখা গেছে রান-বন্যার। যেখানে চট্টগ্রামের দেয়া ২২১ রানের জবাবে ঢাকা থামে ২০৫ রানে। একই রূপ দেখা গেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে চট্টগ্রামের ম্যাচেও। ম্যাচে বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩৮ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। সেটি তাড়া করতে গিয়ে একপর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল কুমিল্লা। তবে শেষ পর্যন্ত ২২২ রানে থামতে হয় কুমিল্লাকে।

আসরে প্রথম জয় তুলে নেয়ার পথে সিলেটও সংগ্রহ করেছিল দুশোর্ধ্ব রানের পাহাড়। তবে আরো একটি কারণে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। আসরের প্রথম শতকটিও এসেছিল এই ম্যাচে। দলকে জয় এনে দেয়ার পথে আন্দ্রে ফ্লেচার খেলেন ১০৩ রানের ইনিংস। এরপর চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচেও এসেছে সেঞ্চুরি। তবে ডেভিড মালানের সেই শতকের দিন শেষ কাজে লাগেনি। কুমিল্লাকে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় রাজশাহী। তবে এই দুটি শতক ছাড়াও শতকের কাছাকাছি একাধিক ইনিংসের দেখা মিলেছে চট্টগ্রাম পর্বে।

পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে আছে স্বাগতিকরা। সাত ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে চট্টগ্রাম। পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে দুই নম্বরে আছে রাজশাহী। এক ম্যাচ বেশি খেলা ঢাকা প্লাটুনের পয়েন্টও ৮। তারা আছে তিনে। খুলনা টাইগার্স পাঁচ ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতলেও হেরেছে দুটিতে। পয়েন্ট নিয়ে আছে চার নম্বরে। পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে কুমিল্লা। পয়েন্ট নিয়ে ছয় সাত নম্বরে আছে যথাক্রমে সিলেট রংপুর।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঢাকায় আলো ছড়িয়েছিলেন দেশীয় ক্রিকেটাররা। চট্টগ্রামে অবশ্য দেশী তারকাদের কেউ কেউ দারুণ প্রদর্শনী দেখালেও অনেকেই হতাশ করেছেন। ঢাকায় সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজনই ছিলেন স্থানীয়। কিন্তু চট্টগ্রাম পর্ব শেষে সেরা পাঁচে মাত্র একজন স্থানীয় তারকার জায়গা হয়েছে। পাঁচ নম্বরে আছেন ইমরুল কায়েস। সবার উপরে আছেন ডেভিড মালান, রাইলি রুশো, চ্যাডউইক ওয়ালটন জনসন চার্লস। স্থানীয়দের মাঝে অবশ্য ভালো কিছু ইনিংস খেলেছেন মেহেদী হাসান, তামিম, মুশফিক, নাঈম, লিটন, আফিফরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন