বিদেশে কাজের চুক্তি সম্পর্কে না জানলে যাত্রা বন্ধ —প্রবাসী কল্যাণ সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশগামী বাংলাদেশী কর্মী যদি নিয়োগকর্তার সঙ্গে তার চুক্তির বিষয়ে অবগত না থাকেন কিংবা বিদেশযাত্রার সময় কর্মীর সঙ্গে চুক্তির কপি না থাকে, তাহলে সে কর্মীকে অফলোড করার (যাত্রা বন্ধ করা) সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। -সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা আজই জারি করার কথা রয়েছে। রাজধানীর বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে গতকাল ইউকেএইড, ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ প্রকল্প সিজিসিএমের সহায়তায় বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা কথা জানান।

সেলিম রেজা বলেন, আমরা নতুন নীতিমালা করছি নারী কর্মীদের জন্য। আমরা আগামীকাল একটি নির্দেশনা জারি করব। সেখানে বলা থাকবে, স্বাক্ষর করা চুক্তি কর্মীকে বুঝতে হবে। রিক্রুটিং এজেন্সিকে তাকে চুক্তির বিষয়গুলো বলতে হবে। আমরা সেটা তিন-চার জায়গায় যাচাই করার ব্যবস্থা করব। ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্সের জন্য আমরা যাচাই করব চুক্তি সম্পর্কে কর্মী জানেন কিনা। আবার যখন এয়ারপোর্টে যাবেন, সেখানেও যাচাই করা হবে। রিক্রুটিং এজেন্সি যদি না বুঝিয়ে দেয়, কর্মীর সঙ্গে যদি চুক্তির কাগজ না থাকে, তাহলে সে কর্মীকে অফলোড করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সৌদি আরবের রিক্রুটিং এজেন্সিকেও দায়বদ্ধতার মধ্যে আনার জন্য কাজ করছি। সেজন্য আমাদের দূতাবাসে রিক্রুটিং এজেন্সি নিবন্ধিত হওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে কোনো অভিযোগ এলে আমরা কালো তালিকাভুক্ত করতে পারি। মেডিকেল ট্রেনিং যথাযথভাবে না করে কর্মীকে বিদেশ পাঠানো হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। এরই মধ্যে আমরা ১০০টির বেশি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছি। যারা ভালো কাজ করবে, তাদের আমরা পুরস্কৃত করব।

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে শ্রেণীবদ্ধ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, চেষ্টা চলছে আগামী মাসে কাজ শেষ করার। এছাড়া আমরা দেখেছি সৌদির সব এলাকা এক রকম না। কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় ঘটনাগুলো বারবার ঘটে। আমরা এসব এলাকায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে রেস্ট্রিক্টেড (সংরক্ষিত) করে দেব।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন