ভারতকে নিয়ে এসএ গেমস ফুটবলের সূচি চূড়ান্ত হলেও দেশটির অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। শেষ পর্যন্ত গেমসে এ অঞ্চলের পরাশক্তিরা না খেললেও বাংলাদেশের কাজটা কঠিনই দেখছেন জেমি ডে।
আগামী ১ ডিসেম্বর নেপালে শুরু হচ্ছে এসএ গেমস, শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর। ‘এ’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নেপালের সঙ্গী বাংলাদেশ। গ্রুপের আরেক দল ভুটান। স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মিশন শুরু হচ্ছে ১৯৯৯ ও ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের।
গেমসের জন্য আজই নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে ফুটবল দল। যুক্তরাজ্যে পরিবারের সঙ্গে থাকা প্রধান কোচ জেমি ডে সরাসরি নেপাল চলে যাবেন। ভারত গেমসে অংশগ্রহণ করছে—এটা ধরে নিয়েই পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন ৪০ বছর বয়সী বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
‘প্রথম ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ম্যাচে জয় পেলে তা দারুণ হবে, ড্র করলেও সেমিফাইনালে ভারতকে এড়ানো যেতে পারে’—যুক্তরাজ্য থেকে বলেন বাংলাদেশ কোচ। নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ সম্পর্কে এ কোচ বলেছেন, ‘ওটা বেশ কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। কারণ স্বাগতিক হিসেবে সবকিছুই থাকবে নেপালের পক্ষে। তাদের হারাতে হলে আমাদের সেরা ফুটবল খেলতে হবে।’
২০ সদস্যের বাংলাদেশ দলের ১৬ জনই জাতীয় দলের। এ কারণেই এবার ফুটবল দলকে ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। অনূর্ধ্ব-২৩ বয়স বিভাগে খেলা হলেও অলিম্পিকের আদলে সিনিয়র কোটায় তিন ফুটবলারের খেলার সুযোগ থাকে গেমসে। সিনিয়র কোটায় খেলবেন সেন্টারব্যাক ইয়াসিন খান, মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া ও ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বশেষ ম্যাচে ওমানের কাছে ১-৪ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া বাকি তিন ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট সংগ্রহ করলেও লাল-সবুজদের নৈপুণ্য ছিল ইতিবাচক। জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়া জামাল ভূঁইয়ার বাহুতে গেমসে অধিনায়কের বন্ধনী থাকবে। আশা করা হচ্ছে, জাতীয় দলের মতো এসএ গেমসে ভালো ফুটবল খেলবে বাংলাদেশ। নিজের পরিষ্কার লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কোচ জেমি বলেন, ‘আমরা পদক জয়ের লক্ষ্যেই নেপাল যাব। কাজটা সহজ হবে না, কিন্তু আমরা সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। সেখানে শীর্ষ তিনে থাকতে পারলেই আমি খুশি হব।’ যুক্তরাজ্য থেকে আজই নেপালে আসবেন বলে জানিয়েছেন কোচ।
২০১০ সালে আফগানিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে স্বাগতিক ভারতের কাছে সেমিফাইনালে