পদ্মার তিন স্থানে অবৈধ বাঁধ, বিপাকে পাঁচ শতাধিক জেলে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি ফরিদপুর

 ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মা নদীতে পৃথক তিনটি স্থানে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন প্রভাবশালীরা বাঁধের কারণে ওইসব এলাকায় মাছ ধরতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার পাঁচ শতাধিক জেলে তাদের অভিযোগ, প্রতি বছর সময়ে প্রভাবশালীরা মাছ শিকারের জন্য বাঁধ দেন এতে তাদের কর্মহীন হয়ে পড়তে হয়

জানা গেছে, উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের নমুর ছ্যাম জলমহাল গাজীরটেক ইউনিয়নের কদমতলা জলমহালের তিনটি স্থানে বাঁশ জাল দিয়ে আড়াআড়িভাবে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধ দেয়া হয়েছে এসব বাঁধের জালে সব ধরনের মাছ আটকা পড়ছে স্থানীয় কোনো জেলেই এসব মাছ সংগ্রহ করতে পারছেন না এমনকি তাদের আশেপাশে ঘেঁষতে দেয়া হচ্ছে না কারণে দূরবর্তী স্থানে গিয়ে মাছ শিকার করতে হচ্ছে জেলেদের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারে প্রভাবশালীদের সহায়তা করছেন স্থানীয় কিছু জেলে তারাই ওই এলাকা থেকে মাছ নিয়ে বাজারে বিক্রি করেন এর মধ্যে নমুর ছ্যাম জলমহালের বাঁধে বিকাশ হলদার, কদমতলা বাঁধে মো. নুরুল ইসলাম, সেকেন মণ্ডল বদ্ধি ডাঙ্গী বাঁধে সচিন হলদার আজাহার মোল্যা মাছ শিকার এবং বাজারে বিক্রির কাজে নিয়োজিত

গাজীরটেক ইউনিয়নের বিন্দু ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা রবি বিন্দু, চিত্ত বিন্দু, পরিমল বিন্দু, স্বপন বিন্দুসহ বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, বাঁধের কারণে ১৫ দিন পদ্মা নদীতে মাছ শিকার করতে পারছি না ওইসব বাঁধের আশপাশের জলমহালে মাছ শিকারের জন্য বড়শি বা জাল ফেললে আমাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয় ফলে কর্মহীন অবস্থায় খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে

তারা আরো বলেন, যারা বাঁধ দিয়েছেন, তাদের দাবি ওই জলমহাল তারা ইজারা নিয়েছেন কিন্তু আমরা যতদূর জানি, এসব জলমহাল ইজারা দেয়া হয় না গত বছরেও তারা চরসালেপুর এলাকায় এভাবে বাঁধ দিয়েছিলেন পরে অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ওই বাঁধ অপসারণ করে তবে এবার অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি

ব্যাপারে কদমতলা বাঁধের দায়িত্বে থাকা জেলে নুরুল ইসলাম বলেন, লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করে পদ্মা নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে মালিকদের হুকুমে বাঁধ এলাকায় অন্য কোনো জেলেকে মাছ শিকার করতে দেয়া হয় না এতে আমাদের কিছু করার নেই

যারা বাঁধ দিয়েছেন তাদের একজন হলেন . কুদ্দুস মণ্ডল তিনি বলেন,

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন