প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ন্যূনতম ব্যবধানে হার। ঢাকায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের সঙ্গে লড়াই করে হার। কলকাতায় জয়ের সুবাস পেয়েও ভারতের সঙ্গে ড্র। জেমি ডে মনে করেন, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওমানের বিপক্ষে বেশ কঠিন ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আগামীকাল মাসকাটের সুলতান খাবুস ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে এ ম্যাচ। বাছাইয়ে ওমান এরই মধ্যে ভারত ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। ‘ই’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে আছে দেশটি। তিন ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে বাংলাদেশ।
‘ওমান থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারলে আমি খুশি হব। কিন্তু এটা কঠিন হবে, বেশ কঠিন’—ওমান ম্যাচ সম্পর্কে জেমি ডে। ৪০ বছর বয়সী এ কোচ যোগ করেন, ‘এ পর্যন্ত যে ম্যাচগুলো খেলেছি, তার মধ্যে এটা হবে সবচেয়ে কঠিন। আমি ছেলেদের বলেছি সামর্থ্যের সেরাটা দিতে।’
তিন ম্যাচে চার গোল হজমের বিপরীতে একটি করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচটা রক্ষণভাগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ওমানের দুই স্ট্রাইকার আবদুল আজিজ মুকবালি ও মুনদহির আলাওয়ি বাংলাদেশ রক্ষণের বড় হুমকি। তিন ম্যাচে ওমানের করা ৬ গোলের ৫টি করেছেন দুজন মিলে।
‘আগের ম্যাচগুলোয় যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে দল, তা ধরে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। সর্বশেষ ম্যাচে আমাদের রক্ষণ যেভাবে প্রতিপক্ষ দলের ফরোয়ার্ডদের সামলেছে, এ ম্যাচেও সেটা করতে হবে’—বলছিলেন জেমি।
ম্যাচের ১০ দিন আগে থেকে ওমানে গিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। একটা ম্যাচও খেলেছে দল। বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিনের মতে, ওমানের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন দলের সদস্যরা; ম্যাচের জন্য দলের সব সদস্য প্রস্তুত। তার কথায়, ‘আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেক আগেই এখানে এসেছি। ম্যাচে কন্ডিশন কোনো সমস্যা তৈরি করবে বলে মনে হয় না। ভারতের বিপক্ষে দল যেভাবে খেলেছে, এ ম্যাচেও সেভাবে লড়াইয়ের জন্য আমরা সবাই প্রস্তুত।’
ভারতের বিপক্ষে গোল করায় এ ম্যাচেও সাদ উদ্দিনের ওপর প্রত্যাশার চাপ থাকবে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সুযোগ পেলে অবশ্যই গোল করার চেষ্টা করব। দলের প্রতিটি সদস্য সেরাটা দিয়ে দলকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছেন।’
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের ছক কষেই ওমানকে মোকাবেলা করবে