ব্যালন ডি’অর পুরস্কারে আফ্রিকান খেলোয়াড়রা এখনো তাদের যোগ্যতার স্বীকৃতি পান না বলে দাবি করলেন ক্যামেরুন কিংবদন্তি স্যামুয়েল এতো। এএফপিকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাত্কারে তিনি একথা বলেন। তবে তার আশা, এবার তার নিজের মহাদেশের কেউ ব্যালন ডি’অর জিতে নেবেন। বলা বাহুল্য, আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৯৫ সালে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জয়ের গৌরব দেখান পিএসজি ও এসি মিলানের সাবেক ফরোয়ার্ড জর্জ উইয়াহ, যিনি বর্তমানে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এএফপিকে এতো বলেন, ‘আফ্রিকায় মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে পশ্চিমা মিডিয়া, কাজেই তাদের বিরাট প্রভাব রয়েছে। মানুষ লিওনেল মেসির গোল দেখতেই পছন্দ করে।’ বার্সেলোনায় একসময় লিওনেল মেসির সতীর্থ হিসেবে খেলা এতোর মতে, আফ্রিকান খেলোয়াড়রা যথেষ্ট সম্মান পান না এবং তাদের যোগ্যতার স্বীকৃতিও পান না।
তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুটি আফ্রিকান নেশনস কাপজয়ী এতো সম্প্রতি ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে কখনই তিনি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাননি। যদিও এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই বলে জানান ৩৮ বছর বয়সী এতো। তার কথায়, “না, কারণ আমি অনেক শিরোপা জিতেছি এবং আমার কাছে এসব ব্যালন ডি’অর জয়েরই সমান। তবে আমার পরের প্রজন্মের যেসব ভাই আসছে, তাদের জন্য আমার অনুভূতি কাজ করে।”
আগামী ২ ডিসেম্বর প্যারিসে দেয়া হবে এবারের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আফ্রিকার পাঁচ খেলোয়াড় রয়েছেন। তারা হলেন সেনেগালের সাদিও মানে ও কালিদু কুলিবালি, মিসরের মোহাম্মদ সালাহ, আলজেরিয়ার রিয়াদ মাহরেজ এবং গ্যাবনের পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং।
১৮০ সাংবাদিক ভোট নিয়ে লুকা মডরিচের উত্তরসূরি নির্বাচন করবেন। মডরিচের আগের ১০টি ব্যালন ডি’অর ভাগাভাগি করেন মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এতোর সাবেক সতীর্থ মেসি এবারো আছেন রেসে। তাকে নিয়ে এতো, ‘সে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। মেসি যা করেছে, তাতেই সে ফুটবল ঈশ্বর। সে আবারো পুরস্কারটি জিতলে খুশিই হব।’ এএফপি