সরকারি আবাসিক ভবনে গ্যাস সংযোগ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারে মানুষকে অভ্যস্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ পরামর্শ দেন তিনি। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো দুই মেট্রোরেল প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, যানজট নিরসনে আনুমানিক ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন ১ ও ৫ বাস্তবায়ন করা হবে। দুটি প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ২৫ হাজার ২৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আসবে। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছ থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে বাকি ৬৮ হাজার ৫৬৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়সীমা ও আনুমানিক ব্যয়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে আসবে। বাকি ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা জাইকার কাছ থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে। ‘এমআরটি লাইন-১’ হবে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটারের। এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় ১৬ দশমিক ২১ কিলোমিটার হবে আন্ডারগ্রাউন্ড। আর কুড়িল থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত প্রায় ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড। এছাড়া নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন লাইন থাকবে।
অন্যদিকে, এমআরটি লাইন-৫ উত্তর ও দক্ষিণ দুটি রুটে বিভক্ত। এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও অনুদান থেকে এবং ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা জাইকার কাছ থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে। উত্তরের রুটের দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার, যার মধ্যে ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত হবে। আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ কিল
