বৃষ্টি-পরবর্তী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা কঠিন। বাংলাদেশ ওই পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লাল-সবুজদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ কাতার কিন্তু উল্টো মেরুতে দাঁড়িয়ে। ম্যাচে পরিবেশগত এ সুবিধা নিতে পারবে স্বাগতিকরা।
‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে আগামীকাল এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ম্যাচ। তার আগে রক্ষণ সামলে সুযোগ পেলে আক্রমণে যাওয়ার কৌশল সাজাচ্ছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে। দলসংশ্লিষ্টদের আশাবাদ, ওই কৌশলের সঙ্গে মাঠের সুবিধা মিলে গেলে সম্মানজনক ফলও পেতে পারে স্বাগতিকরা।
‘আমাদের মাঠের যে অবস্থা; বিশেষ করে বৃষ্টিপরবর্তী সময়ে। কাতার কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে খেলে অভ্যস্ত নয়। এটা আমাদের সুবিধার দিক। আশা করছি, সে সুবিধা কাজে লাগানো যাবে’—গতকাল অনুশীলনের পর বলেন জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিন। একাধিক পজিশনে খেলার সামর্থ্যের অধিকারী ঢাকা আবাহনীর এ ফুটবলারকে অনুশীলনে রক্ষণ সামলে মাঝমাঠে খেলতে দেখা গেছে। নিজের অবস্থান পরিবর্তন সম্পর্কে সাদ বলেছেন, ‘কাতার অনেক ভালো দল। তাদের মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ বেশ ভালো। এ দলটিকে রুখতে হলে রক্ষণে আমাদের সংঘবদ্ধ থাকতে হবে। তাদের রুখে সুযোগ পেলে পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার কৌশলে খেলব আমরা।’ এশিয়ান গেমসে কাতারকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে সাদ উদ্দিন বলেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে কাতার জাতীয় দলের বিস্তর তফাত। ম্যাচটি আমাদের জন্য বেশ কঠিন হবে।’
ম্যাচের আগে রক্ষণের মন্ত্র জপছেন ফরোয়ার্ড রবিউল হাসানও, ‘কাতার ভালো দল। ভারতও কিন্তু দল হিসেবে ভালো। ভারত কিন্তু কাতারের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে। আমরাও সাধারণত রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলি। কাতারের বিপক্ষেও একই কৌশলে খেলব। তাদের রুখে সুযোগ পেলে আমরা আক্রমণে যাব। ম্যাচে তেমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকব।’
সাসপেনশনের কারণে ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকছেন বিশ্বনাথ ঘোষ। মাঠে নামতে না পারলেও ম্যাচের আগে সতীর্থদের শক্তি, সাহস জোগাচ্ছেন লম্বা থ্রো-ইন করার ক্ষমতাসম্পন্ন এ ডিফেন্ডার, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণে এ ম্যাচে খেলা হচ্ছে না। আমি দলের সঙ্গেই আছি। আশা করছি, দলের প্রতিটি সদস্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভালো কিছু অর্জন করবে।’
গতকাল অনুশীলনে মাঠে খেলোয়াড়দের পজিশনের বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন জেমি ডে। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো