সিসিটিভি ফুটেজে আবরার ফাহাদ হত্যায় ৬ জন শনাক্ত

বণিক বার্তা অনলাইন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং এদের মধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন সোমবার বিকেলে বুয়েটের হলে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।  

আবদুল বাতেন বলেন, এই ঘটনায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

আটক চার জনই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। তারা হলেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান রাসেল। এডিসি আব্দুল বাতেন এদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, পলাতকদের আটকের চেষ্টা চলছে।

এর আগে গতকাল রোববার দিবাগত গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, শিবির সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগে গতকাল রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে ডেকে নিয়ে প্রহার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। পরে দিবাগত রাত তিনটার দিকে হল থেকে আবরারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। 

কুষ্টিয়ার ছেলে আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।

আবরারের সহপাঠীরা গণমাধ্যমে জানান, তিনি (আবরার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতেন। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যতটুকু বুঝি, এখানে ভিন্নমতের জন্য একজন মানুষকে মেরে ফেলার কোনো অধিকার কারও নেই। কাজেই এখানে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তদন্ত চলছে, তদন্তে যারাই অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে, পারসোনালি আমি বলেছি- এখানে আমার কোনো ভিন্ন মত নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন