ডিএমপি উপকমিশনারের ছেলের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমানের কলেজপড়ুয়া ছেলে সাদিক বিন সাজ্জাদের (২০) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ভোরে আজিমপুর সরকারি কোয়ার্টারের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। সাদিক রাজধানীর সিটি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

বাবার লাইসেন্স করা অস্ত্রের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আত্মহত্যার ঘটনায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, সে আত্মহত্যা করেছে।

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, রোববার বিকালে বড় ছেলে সাদিককে বাসায় রেখে পরিবারের অন্যরা বাইরে যান। ফেরার পর সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খান। সকালে গুলির শব্দে সবার ঘুম ভাঙে। সময় সাদিক নিজের ঘরেই ছিল। পরে দরজা ভেঙে তাকে বিছানায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পিস্তলটি সাজ্জাদুর রহমানের নামে (ব্যক্তিগত) লাইসেন্স করা ছিল। যেটি তার শোয়ার ঘরের ড্রয়ারে রাখা ছিল। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাদিকের মরদেহ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুপুরের দিকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে সাদিকের মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরে বেলা ৩টায় রাজারবাগে জানাজা শেষে মরদেহ ঝিনাহদহে দাফনের জন্য নেয়া হয়।

পরিবারের ধারণা, তারা রোববার বিকালে বাইরে যাওয়ার সময় সাদিক পিস্তল নিজের কাছে নিয়ে যায়। বেশ কিছুদিন ধরে সে বিষণ্নতায় ভুগছিল। পড়ালেখায় ভালো করতে না পরায় সাদিক হতাশাও প্রকাশ করত। এসএসসিতে প্লাসের জায়গায় পাওয়ার পর থেকে মূলত তার এমন হতাশা শুরু হয়।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, সাদিকের মাথার বাম পাশ থেকে একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিটি তার মাথার ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম পাশে আটকে ছিল। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে একটি আত্মহত্যা।

সাজ্জাদুর রহমান সম্প্রতি ডিএমপির রমনা বিভাগের নতুন উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হিসেবে যোগদান করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন