আত্মজিজ্ঞাসার দিন

মাহমুদ রেজা চৌধুরী

শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জাতির পিতা শেখ মুজিব, আবার কারো কারো কাছে মুজিবর, মুজিব ভাই, মুজিব—এ সবগুলো নাম একজন ব্যক্তির। বাঙালি জাতি তাঁকে এভাবে চেনে, জানে, ভালোবাসে। এর যেকোনো নামে তাঁকে ডাকি বা বলি, সব পছন্দ-অপছন্দ, আবেগ-নিরাবেগ—এ সবকিছুর ঊর্ধ্বে তিনি। আজকে চার দশক হয়ে গেছে (১৯৭৫-২০১৯), তবু মনে হয় এই তো সেদিনের ঘটনা যেন! তখন ইন্টারমিডিয়েট (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষার্থী ছিলাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত হলো। সারা বাংলাদেশ হতবাক, কিংকর্তব্যবিমূঢ়! ভিন্ন মতও আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের অপ্রত্যাশিত অমানবিক, মর্মান্তিক ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। একটা মানুষ, একজন জাতীয় নেতা, জাতির প্রধান স্থপতিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় পরিবারের প্রায় ১৫ জন সদস্য-সদস্যাসহ। অপ্রাপ্তবয়স্ক শেখ রাসেল, সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের দুই প্রিয় পুত্রবধূ এবং বেগম শেখ মুজিব। জাতীয় ইতিহাসে এটা অন্যতম কালো দিন। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির জনক বলি বা বাংলাদেশের প্রধান  স্থপতি বলি, তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলা, যা-ই বলি না কেন, সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না। ইতিহাসও সহজ করে দেখবে না। শেখ মুজিবের মৃত্যু বলব না, বলতে হবে হত্যার মাধ্যমে তাঁর মৃত্যু বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য কোনো শোষণমুক্তি, ন্যায়বিচার, দুর্নীতির মুক্তি এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচারকে নিশ্চিত করতে পারেনি, তাঁর মৃত্যুর ৪৪ বছর পরও। এটা অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর যেটা ঘটছে, সেটা আরো বেশি করুণ, দুঃখজনক এবং হতাশার। এখন আমরা ঘরে/দেয়ালে বা রাস্তায় প্রায় সবাই বঙ্গবন্ধুর মানবিক ও রাজনৈতিক সম্মানকে শুধু তাঁর ‘ছবি’ নিয়ে ধরে রাখতে চাই। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অনেক আদর্শ আজকের আওয়ামী লীগেও বিরাজ করে না। সময় ও কালের পরিবর্তনে অনেক বাস্তবতা ও চর্চা বদলে যায়। আজকের আওয়ামী লীগের প্রশ্নেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে এটাও সত্যি, এ ধরনের কথায় যুক্তি আছে বা তর্কও করা যায়। কিন্তু আদর্শিক সততা বা শ্রদ্ধাবোধের বাস্তবতা নেই। কথাগুলো এল কারণ এ মানুষটার আত্মার শান্তির জন্য আমরা তাঁর কবর জিয়ারত, বক্তৃতা আর কুমিরের অশ্রুজল দেখানো ছাড়া কিছু করছি না। শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ নামে প্রকাশিত বইয়ের মোড়কের শেষে একটা কথা বলেছেন। ‘রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়স্বজন, ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ, তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।’ বঙ্গবন্ধুর এ কথাগুলো কে কতটা চর্চা করেছি বঙ্গবন্ধুর চলে যাওয়ার পর? বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।’ এখন যে আমরা সেই পথেই হাঁটছি, অস্বীকার করা যাবে কি? বঙ্গবন্ধু দোষে-গুণে একজন সাধারণের মাঝে অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মানুষ ছিলেন। মাত্র ৫৩ কি ৫৪ বছর বেঁচে ছিলেন। দীর্ঘকাল জেলও খেটেছেন। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি ফিরে এসে অতি আবেগের কারণে এবং নিজ দলের ভেতরের নানা রকমের স্বার্থের দ্বন্দ্বে তাঁর কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বুকের রক্ত ঢেলে কিন্তু জাতির কাছে তাঁর অনেক ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতার ঋণ শোধ করে দিয়েছেন। সাধারণ নাগরিক হিসেবে যে সামান্য সময় পরোক্ষভাবে তাকে দেখেছি, বঙ্গবন্ধুর কোনো ভুল তাঁর একক ইচ্ছা বা সিদ্ধান্তে ছিল বলে মনে করি না। বঙ্গবন্ধু হূদয়ের টানে বেশি অনুপ্রাণিত হতেন। বড় মনের মানুষ হলে যা হয়। বঙ্গবন্ধু মনের দিক দিয়ে অত্যন্ত উদার, সহনশীল এবং তাঁর সমসাময়িক প্রতিপক্ষের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। বিনয়ী ছিলেন। যা আজকের রাজনৈতিক দলে পক্ষে-বিপক্ষে বিরল। কী শিখলাম এ নেতার কাছে?  সম্ভবত ১৯৭৩ সালের মে মাসের কোনো এক দিনে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত ডায়েরির একটি লেখা—‘একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’ (সূত্র: অসমাপ্ত আত্মজীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান)। আমাদের আজকের রাজনীতিতে না আমরা মানবজাতি নিয়ে ভাবিত, না চিন্তিত আমাদের মধ্যে ভালোবাসার অক্ষয় অনুভূতি নিয়ে। নেতা মানি কিন্তু তাঁর আদর্শ মানি না। সততা, সরলতা, ক্ষমা মানি না। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘যে রক্ত দিয়ে আমরা স্বাধীনতা এনেছি, সে রক্ত দিয়ে দরকার হলে আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করা হবে। তবুও স্বাধীনতা নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।’ (সূত্র: বাংলাদেশে উন্নয়নের ইতিহাস, প্যানোরমা পাবলিকেশন, ১৯৯৯, আবুল কাসেম হায়দার, সোহেল মাহমুদ; পৃ. ২৩৩)

তাঁর হত্যার পর ‘স্বাধীনতা’ কী বা কাকে বলা যায় বা যাবে? রাজনীতি এবং বিভিন্ন পণ্ডিতের সংজ্ঞায় তা নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে বদলায়। আমাদের সার্বভৌমত্ব, নিজেদের ন্যায়-অন্যায় বোধ, মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধেরও যে ক্রম অবক্ষয় চলছে, সেই পরিস্থিতিতে একসময় স্বাধীনতার অর্থ হয়তোবা প্রভু বদল, শাসক বদল বা জমিদার বদলেরই নাম হতে পারে। যে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, সেই রক্তে শূন্যতা বাড়ছে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী, ইতিহাস আলোচনা বা তাঁর বিষয়ে কোনো বিশ্লেষণ এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতীয় ইতিহাসের একটি মর্মান্তিক ও বিয়োগান্তক ঘটনা, যা আজো ভাবতে গেলে শিহরিত হই। সেই দুর্ঘটনায় শাহাদত বরণ করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে প্রধান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম শেখ মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল ও শেখ মুজিবের দুই পুত্রবধূ। এ লেখার মাধ্যমে সেই সকালে আরো যাঁরা নিহত হন, তাঁদের প্রত্যেকের আত্মার শান্তির জন্য অন্তরের অন্তস্তল থেকে প্রার্থনা জানাই মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দরবারে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদত দিবস উদযাপনের যথার্থ মর্যাদা নির্ভর করছে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের উদারতা, ত্যাগ, দেশাত্মবোধ, প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা এবং একজন সম্পূর্ণ বাঙালি হওয়ার মধ্যে। একজন নেতার আগে তিনি একজন মানুষ ছিলেন। আর একজন মানুষ মানে তাঁর ভালো-মন্দ নিয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ। দেবতা বা ফেরেশতা কোনো মানুষই হতে পারে না। নবী, সন্ন্যাসী, ঋষি, ফকির, দরবেশ—এরা কেউই দেবতা বা ফেরেশতা নন। আমাদের ছেড়ে যাঁরা চলে যান, প্রথমত বিশেষ করে তাঁর মৃত্যুদিনে আমাদের কাছ থেকে পাওনা হয় তাঁদের জন্য হূদয়ের অকৃত্রিম ভালোবাসা, দোয়া। সমালোচনা নয়, কারণ এখন তাঁরা সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে। বিশেষ করে তাঁদের জন্ম ও মৃত্যু দিবসে। স্বাভাবিক কারণেই বঙ্গবন্ধুর এই প্রয়াণ দিনে আমাদের প্রার্থনা—শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যেটুকু ভালো দিয়েছেন, সেটা স্মরণ রাখা এবং চর্চা করা। তাঁর সমাজ ও দেশপ্রেমের সুনিদর্শনগুলো মেনে চলতে চেষ্টা করা। শেখ মুজিবুর রহমানকে যেন আমরা কোনো দল বা গোষ্ঠীর নেতা বা ‘ছবি’ করে না রাখি। বঙ্গবন্ধু ছবির রাজনীতি করেননি। তাঁর সামনেও ছবি ছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এ কে ফজলুল হক সাহেবের মতো নেতা ও নেতৃত্বের। কিন্তু তাদের কারো ছবি হাতে নিয়ে বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে নামেননি, রাজনীতি করেননি। দুঃখজনক হলেও সত্যি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার এই মর্মান্তিক দিনে দেশে তাঁর ছবি, পোস্টার, বিলবোর্ড এসবের যত্রতত্র ‘শো’-তেও তাঁর ছবির যত গুরুত্ব থাকে, এর চেয়েও বেশি গুরুত্ব পায় এসব ছবির পাশে অন্য যাদের ছবি শোভা পায় তারা। বঙ্গবন্ধুকে আমরা যেন শ্রদ্ধা করি, বিক্রি না করি, বিকৃত না করি। জনগণের চিন্তারও একটু পরিবর্তন প্রয়োজন। পাক-ভারত উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে ঐক্যে বিশ্বাস ছিল, এক ঐতিহ্য। যারা এ মূলধারা থেকে বিচ্যুত হন বা হচ্ছেন তারা স্বদেশী নন। সংস্কৃতির এ মৌলিক ঐক্য হবে আমাদের রাজনীতির ধারা ও নিয়ন্তা। অনেকেই বলেছেন, এ ঐক্যকে খণ্ডিত করে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল। সেই পাকিস্তান মাত্র ২৩ বছর টিকে ছিল বড় ঐক্য ছিল না বলেই। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল শোষণ, অত্যাচার ও অবিচার সংস্কৃতির বিপক্ষে বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের সব ধরনের শোষণমুক্তির লড়াইয়ে বিজয় অর্জন এবং তা রক্ষার জন্য। তাঁকে দলীয়করণ বা ছবি করে রাখা এবং আলোচনা বা ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের ঊর্ধ্বে রাখাটা সেই ঐক্য এবং জনগণের স্বার্থের বিপক্ষে বলতে সার্বিক ঐক্যের বিপক্ষে এবং বৃহত্তর সম্প্রীতিকে নষ্ট করার মতো। অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর তুলনায় আমরা একটু বেশি আবেগপ্রবণ জাতি।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কবি লিখলেন, ‘মহান প্রভুর নামে আমার শপথ, সেইসব বৃদ্ধদের প্রতি আমার শপথ, সেইসব ভাইবোন লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতি আমার শপথ, আমি প্রতিশোধ নেব। আমার রক্ত ও শ্রম দিয়ে এই বিশ্বের মাটি ও মানুষের দেখা সবচেয়ে মর্মস্পর্শী জঘন্য হত্যার আমি প্রতিশোধ নেব।’ প্রভুর নামে ‘প্রতিশোধ’ নয়, ভালোবাসা উত্তম। বঙ্গবন্ধুর জীবনের আদর্শ ও চর্চায়ও প্রতিশোধ ছিল না; ছিল উদারতা, ভালোবাসা, সহনশীলতা এবং ক্ষমার অসংখ্য দৃষ্টান্ত। একই কবির উল্লিখিত কবিতার (‘টুঙ্গীপাড়া গ্রাম থেকে’) শেষ কয়টি লাইন উচ্চারণ করতে পারি, চর্চা করতে পারি। ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক শিক্ষা সেই শিক্ষায় দীক্ষিত হতে অনুপ্রাণিত করুক।  ১৫ আগস্ট হোক সবার জন্য শোকের, কোনো দলের জন্য নয়। এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সব রাজনৈতিক গোষ্ঠী, দল এবং সরকারের। কবির কথাতেই বলি, ‘যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক, তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয় কণ্ঠ, শৌর্য আর অমিত সাহস টুঙ্গীপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে, নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা (কবি কামাল চৌধুরী, কবিতা সংগ্রহ পৃ. ৪০-৪১)। ১৫ আগস্ট আমাদের সেই সাহস দিক, সত্যি উচ্চারণের সাহস। ত্যাগের এবং প্রতিপক্ষকেও ভালোবাসার, অবজ্ঞা না করার। পেট্রলবোমা মারা এবং গুম না করার। সাহস দিক দেশকে ভালোবাসার। সাহস দিক ভয়-ভীতি বা আগ্রাসনের কাছে নত হওয়া নয়, শির উঁচু করে পথ চলার। ১৫ আগস্ট নিজেদেরও আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মসমালোচনার বিশেষ দিন হিসেবে থাকবে সমাজ, রাষ্ট্র ও জাতীয় জীবনের রাজনীতি এবং এর সংস্কৃতির চর্চায়। ১৫ আগস্ট এক অনির্বাণ শিখা হয়ে আমাদের আগামী রাজনীতি, গণতন্ত্র ও মানবতাকে পথ দেখালেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান দেখানো হবে। প্রসঙ্গত মনে পড়ল রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার কয়েকটি লাইন। ‘রূপ—নারাণের কূলে জেগে উঠিলাম,/ জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়/ রক্তের অক্ষরে দেখিলাম আপনার রূপ,/ চিনিলাম আপনাকে আঘাতে আঘাতে/ বেদনায় বেদনায়; সত্য যে কঠিন,/ কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,/ সে কখনও করে না বঞ্চনা (রূপ-নারাণের কূলে)।’ আমরা আজকে সেই সত্য কূল থেকে বহুদূরে সরে গেছি। কখনো ভয়ে, কখনো লোভে, কখনোবা ক্ষমতার কারণে। ১৫ আগস্টের এই দিনে বেদনার সত্যকে যেন বিকৃত না করি। ক্ষমতার জোরে অপব্যবহার না করি। ব্যক্তিগত স্বার্থেও বাড়াবাড়ি না করি।

 

মাহমুদ রেজা চৌধুরী: রাজনীতি বিশ্লেষক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন