রৌদ্রতাপ থেকে সংবেদনশীল ত্বক বাঁচাতে...

ফিচার ডেস্ক

রোজ বাইরে বের হওয়ার কারণে ত্বক রোদের সংস্পর্শে আসে। তবে সবার ত্বক একইভাবে সূর্যের আলো দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। খেয়াল করলে দেখা যাবে কারো ত্বক পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে, আবার কারো ত্বক তেমন ক্ষতিগ্রস্ত বা লালচে হয় না। এক কথায় বলতে গেলে রোদে পোড়া ত্বকের তেমন বড় কোনো সমস্যা নয় প্রাথমিকভাবে। তবে যদি একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে ত্বক বেশি পরিমাণে রোদে পোড়ে, তখন সমস্যা তৈরি হবে। সে সময় ত্বকের লালচে ভাব দেখা দেয়ার পাশাপাশি পোড়া স্থানে ব্যথা অনুভূত হবে ও জ্বালাপোড়া থাকবে। খুব বেশি মাত্রায় হলে ত্বক রুক্ষ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ক্ষতি এড়াতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সেগুলো হচ্ছে—

রৌদ্রতাপ এড়াতে প্রথমেই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। আর এমন কাপড় পরতে হবে, যা শরীরের অধিকাংশ অংশই ঢেকে রাখে। এর পরও যদি তাপ ত্বকে লাগে, তাহলে বাড়ি ফিরে যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে। খুব ভালো হয় বরফ দিয়ে মুখে ম্যাসাজ করলে। এতে জ্বালাপোড়া ও লালচে ভাব কমে যাবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রোদে পোড়া দাগ কমে যেতে যেতে একটা পর্যায়ে ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ ফেলে যায়। সেটা একটা বড় সমস্যা। তাই এ সমস্যা সমাধানে ত্বকের ব্যাপারে একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে—

 ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ

আমরা প্রত্যেকেই ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কোনো না কোনো ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করি। তবে রোদে যাদের ত্বক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের এ ক্লিনজার নির্বাচনে সচেতন হতে হবে। এ সময় ব্যবহার করা যেতে পারে গ্লিসারিনসমৃদ্ধ ক্লিনজার কিংবা ফেসওয়াশ। এতে করে বারবার ত্বক পরিষ্কার করা সত্ত্বেও ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠবে না। যাদের ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত ও রোদ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত, তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করুন।

 সানস্ক্রিন

রোদ থেকে ত্বক বাঁচাতে সবচেয়ে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে সানস্ক্রিন। রোদ থেকে রক্ষা পেতে বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন। সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে তাতে যেন এসপিএফ অন্তত ১৫ হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন