অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সংলাপ

জাতীয় রাজনৈতিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব গণতন্ত্র মঞ্চের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সংলাপ করে অন্তর্বর্তী সরকার ছবি: পিআইডি

রাজনৈতিক দল ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাতীয় রাজনৈতিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সংলাপের সময় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন জোটের নেতারা। 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় সংলাপে বসল অন্তর্বর্তী সরকার। সংলাপ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে আরো সম্পৃক্ত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এখানে কীভাবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, সংস্কার এবং একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচন করা যায়, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা করা দরকার। এর জন্য একটা কাঠামো তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন মঞ্চের নেতারা।’

সংলাপের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘আমরা প্রশাসনে বেশকিছু দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা দেখছি। এমন আলামত দেখেছি, যা উদ্বেগ প্রকাশের মতো। তারাও একমত হয়েছেন।’

সংলাপে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে বেলা সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনায় বসে অন্তর্বর্তী সরকার। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান, আবদুল হালিম ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান। 

আলোচনা শেষে জামায়াতের অবস্থান তুলে ধরেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘জামায়াত সংস্কারকে এক নম্বরে গুরুত্ব দিচ্ছে। সংস্কারের টাইমলাইন কী হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা দুটি বিষয়ে সরকারের কাছে রোডম্যাপ চেয়েছি। একটা রোডম্যাপ হবে সংস্কারের, আরেকটা নির্বাচনের। সংস্কার সফল হলে নির্বাচন সফল হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এ সরকার নিরপেক্ষ থেকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেবে জাতিকে। আমরা শুরু থেকে বলে আসছিলাম সংস্কারের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সেই যৌক্তিক সময়টা কী হবে, এটা নিয়ে অচিরেই আমরা কাজ করব। খুব একটা বিলম্ব হবে না।’ 

তবে জামায়াত কী কী প্রস্তাব করেছে, তা এখনই সামনে আনতে চান না দলটির আমির। আগামী বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন