চট্টগ্রামে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

অত্যাচারীর বদলে নতুন অত্যাচারী দেখতে চাই না

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল পেনিনসুলায় গতকাল বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির জনশুনানিতে বক্তব্য রাখেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো . দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘শুধু রাজনীতির বদল করলাম, রাজা বদল করলাম, এটা হতে পারে না। যারা আত্মত্যাগ করেছে তাদের চিন্তা ছিল রাষ্ট্র সংস্কার। আমরা এক অত্যাচারীর বদলে নতুন অত্যাচারীর আবির্ভাব দেখতে চাই না।

বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির জনশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল চট্টগ্রামে আয়োজিত শুনানিতে . দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখানে আলোচনা থেকে উঠে এসেছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ কোনো না কোনোভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। যারা আইন প্রণয়ন করার কথা তারাসহ যারা আইন প্রয়োগ করার কথা তারাও যুক্ত হয়েছেন দুর্নীতিতে।

নগরীর হোটেল পেনিনসুলায় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি সিপিডি আয়োজিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ জনশুনানির আলোচনায় অংশ নেয়।

সময় বক্তারা বলেন, ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। পুরনো চাঁদাবাজরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নতুন চাঁদাবাজরা তাদের স্থান দখল করে নিচ্ছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে শিল্প-কারখানা সবখানেই চাঁদাবাজি চলছে নতুন রূপে।

বক্তারা আরো বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে হলে শিক্ষিত বেকার যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। জন্মনিবন্ধন থেকে শুরু করে পাসপোর্ট, ট্রেড লাইসেন্স, ভূমি রেজিস্ট্রেশন সব কিছুতেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। এসব জটিলতার কারণে সাধারণ মানুষ যেমন বিড়ম্বনায় পড়ে, তেমনি অর্থনৈতিক চাপেও পড়তে হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন