মূল সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার অঙ্গীকার

বাসস

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গতকাল বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বৈঠক করে ছবি: পিআইডি

বহুপক্ষীয় ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের একজন সফররত শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের মূল অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হতে প্রস্তুত। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার গতকাল ঢাকার তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ মন্তব্য করেন।

অর্থনীতির সমস্যা কাটিয়ে ওঠা, দুর্নীতি দূর করা এবং বিচার ব্যবস্থার মতো ক্ষেত্রগুলোয় মৌলিক সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়াসে ব্যাপকতর সহায়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাইজার বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত।’ রাইজার জানান, বিশ্বব্যাংক সরকারের সংস্কার এজেন্ডা দেখে ‘উচ্ছ্বসিত’। তিনি মনে করেন এখন বাংলাদেশ সফর করা মূল্যবান। অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।

সফররত বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক ব্যাংকিং, কর, শুল্ক, ভ্যাট, ডিজিটাইজেশন, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপে সংস্কার প্রয়াসে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’

অধ্যাপক ড. ইউনূস বিশ্বব্যাংকের সহায়তাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে ও একটি নতুন যাত্রার সূচনা করতে জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক ম্যান্ডেট পেয়েছে। এটি সংস্কারের মৌসুম। আমরা এখনই শুরু করতে চাই।’ লাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান বিদ্যমান ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কারের জন্য মাঠ প্রস্তুত করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা পেছনে ফিরে যেতে চাই না। এ আন্দোলন অতীতকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন এটি একটি পরিচ্ছন্ন শ্লেট।’ অধ্যাপক ইউনূস তার সরকার এখন পর্যন্ত যেসব সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে তার রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পদক্ষেপগুলোর মধ্যে দুর্নীতি, শ্রম সংস্কার এবং যুবসমাজের উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সরকার শ্রম সংস্কারে আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়ন করবে, যা বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং স্থানীয় উৎপাদনকারীদের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থান পেতে সহায়তা করবে। আমরা এ কাজটি সম্পন্ন করতে চাই।’ বৈশ্বিক খাতে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য খাতেও বাংলাদেশের ভূমিকা রাখা উচিত।

সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পদক্ষেপের প্রশংসা করে রাইজার বলেন, ‘বাংলাদেশে বার্ষিক এফডিআই দেশের জিডিপির প্রায় অর্ধশতাংশ এবং এ অঞ্চলে এটি সর্বনিম্ন। বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গা মানবিক সংকট ও কক্সবাজারের স্বাগতিক জনগোষ্ঠীর জন্য ৭০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন