বাংলাদেশে সাপে কাটা রোগীদের বড় একটি অংশ এখনো ওঝার কাছে যায়। সর্পদংশনের পর তাৎক্ষণিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে না অনেক রোগী। ফলে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসা দিয়েও অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।
‘আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেনতা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ইনফেকশাস অ্যান্ড ট্রপিক্যাল ডিজিজেস ও টক্সিকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে গতকাল আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। অনলাইন প্লাটফর্মে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদের সঞ্চালনায় সভায় নিবন্ধ উপস্থাপন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মো. আসাদুর রহমান বিপ্লব, যশোর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গৌতম কুমার আচার্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আন্তঃবিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সুদীপা দত্ত। তারা মূলত সাপের কামড়ের কারণে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে বছরজুড়ে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের তথ্য পর্যালোচনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে টক্সিকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘সাপের কামড় বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। তবে বিষয়টি প্রায়ই উপেক্ষিত। এটি একটি অবহেলিত ক্রান্তীয় রোগ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। সরকারি খাতে চিকিৎসা পাওয়া গেলেও বেসরকারি খাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশে এরই মধ্যে সাপের কামড় প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি খসড়া কৌশল তৈরি করা হয়েছে। এটি অগ্রগামী প্রচেষ্টা, অন্য কোনো দেশ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করেনি। কৌশলটি বর্তমানে মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্তকরণের অপেক্ষায় রয়েছে। খসড়া কৌশলটিতে চারটি মূল বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।