মেরিটাইম সনদায়নের পারস্পরিক স্বীকৃতিতে সম্মত যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি— সংগৃহীত।

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কনভেনশনের অধীনে প্রদত্ত মেরিটাইম শিক্ষা ও সনদায়নের পারস্পরিক স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ।

গত ১৭ আগস্ট এ সংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলেও এর কপি নৌপরিবহন অধিদপ্তরে পৌঁছায় গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর)। বাংলাদেশের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তাদের মেরিটাইম অ্যান্ড কোস্টগার্ড এজেন্সির প্রধান পরীক্ষক অজিত জ্যাকব।

সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, এসটিসিডব্লিউ কনভেনশনের রেগুলেশন আই/১০ এর অধীনে জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম ও সিঙ্গাপুরসহ মোট ২৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশী নাবিক তথা সিফেয়ারারদের মধ্যে শতকরা ৯০ শতাংশ বিদেশী পতাকাবাহী জাহাজে চাকরি করছেন। তাই বাংলাদেশী সিফেয়ারারদের চাকরির বাজার সম্প্রসারণের জন্য বড় ও নামকরা মেরিটাইম দেশগুলোর স্বীকৃতি একান্ত প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্টরা আরো বলছেন, আইএমওর সদর দপ্তর লন্ডনে অবস্থিত এবং যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম শিক্ষা এবং সনদায়ন আন্তর্জাতিক মানসম্মত এবং ঐতিহ্যের ধারক। ফলে অনেক বাংলাদেশী সিফেয়ারাই যুক্তরাজ্য থেকে প্রফেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং যাতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। বাংলাদেশকে প্রদত্ত এই স্বীকৃতির মাধ্যমে এই প্রবণতা কমে আসবে। এছাড়া এই স্বীকৃতির ফলে যুক্তরাজ্যের জাহাজগুলোতে বাংলাদেশী নাবিকরা অবাধে চাকরির সুযোগ পাবেন। প্রকারান্তরে এর মাধ্যমে আরো অনেক বাংলাদেশি সিফেয়ারারদের কাজের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

উল্লেখ্য, নৌপরিবহন অধিদপ্তর বাংলাদেশে আইএমওর ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এবং মেরিটাইম শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ ও সনদায়ন তাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে আইএমও কাউন্সিলে নির্বাচিত হওয়া, এম ভি আব্দুল্লাহ জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তির পাশাপাশি এই স্বীকৃতি ও চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ সরকারের আরো একটি সাফল্য অর্জিত হলো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন