বলিউডে বাড়ছে ‘স্পিরিচুয়াল সিকুয়াল’

ফিচার ডেস্ক

ছবি: আইএমডিবি

যখন কোনো সিনেমা পূর্ববর্তী কোনো সিনেমার গল্প এবং চরিত্রকে ধারণ করে তৈরি হয়, সেটা সিকুয়াল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বলিউডে সম্প্রতি দেখা দিয়েছে ভিন্ন প্রবণতা। গল্প ও চরিত্রের ধারাবাহিকতাকে কোনো অনুসরণ না করে একই থিমে স্বাধীনভাবে নির্মিত হচ্ছে সিনেমার পরবর্তী কিস্তি। নির্মাতা ও সিনে সংশ্লিষ্টরা এমন চলচ্চিত্রের নাম দিয়েছেন স্পিরিচুয়াল সিকুয়াল। এমন ধাঁচের সিনেমা তৈরি দিনকে দিন বেড়ে চলছে বলিউডে।

বর্তমানে পরিচালকরা পূর্ববর্তী সফল সিনেমা সামনে রেখেই স্পিরিচুয়াল সিকুয়াল তৈরি করে চলছেন। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ব্যাড নিউজ’-এর প্লটের সঙ্গে পূর্ববর্তী সিনেমা ‘গুড নিউজ’-এর চরিত্র ও বর্ণনায় সে অর্থে কোনো মিল নেই। কিন্তু তাদের পাটাতন একই। একই কথা প্রযোজ্য ধড়ক টু এবং তেরে ইশক ম্যায় সিনেমার জন্য। এখনো মুক্তি না পেলেও পাওয়া যাচ্ছে সে প্রবণতার ইঙ্গিত। ধড়ক টু আগের কিস্তির মতোই রোমান্টিক পাটাতনে নির্মিত। তেরে ইশক ম্যায়কে ধরে নেয়া হচ্ছে ২০১৩ সালের রঞ্ঝনা সিনেমার স্পিরিচুয়াল সিকুয়াল। উভয় সিনেমাতেই অভিনেতা ধানুশকে একটা নারীর প্রেমে বিভোর দেখা যায়। 

স্পিরিচুয়াল সিকুয়াল তৈরির ক্ষেত্রে গল্প আর চরিত্র, দুটিই আলাদা হয়। আগের সিনেমা যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে না। তবে কৌশলগতভাবে একই পাটাতনে দাঁড়িয়ে কথা বলে। প্রচলিত ধারার সিকুয়াল ও স্পিরিচুয়াল সিকুয়ালের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরতে নির্মাতা আনন্দ এল রাই বলেন, ‘ফির আয়ি হাসিন দিলরুবা হলো একই চরিত্র ও গল্পের সম্প্রসারণ। অন্যদিকে শুভমঙ্গল জিয়াদা সাবধানের ক্ষেত্রে আমরা চেয়েছি চিন্তাকে সম্প্রসারণ করতে।’ 

তবে অনেক ক্ষেত্রে নামকরণ হয় পূর্ববর্তী সিনেমার সফলতায় পরবর্তী সিনেমার প্রচারণার জন্য। ব্যাড নিউজের প্রাথমিক নাম দেয়া হয়েছিল মেরে মেহবুব মেরে সনম; পরে প্রচারণার স্বার্থেই নাম দেয়া হয় ব্যাড নিউজ। মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ বরুণ গুপ্ত সেদিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘একটা সিনেমাকে স্পিরিচুয়াল সিকুয়াল দাবি করলে সুবিধা। কারণ এটা আগের কিস্তির সফলতাকে ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে। প্রতিশ্রুতি হিসেবে কাজ করে দর্শকদের জন্য। ভক্তরা মনে করে এটা আগের সিনেমার মতোই ভালো।’ 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন