যেভাবে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন হলো ডেমি মুরের

মাহমুদুর রহমান

ছবি: ভ্যারাইটি

ডেমি মুরকে চেনেন না এমন হলিউডপ্রেমী দুর্লভ। এ অভিনেত্রী গত শতকে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। বিশেষত নব্বইয়ের দশকে তিনি কম্পন তুলেছেন বহু তরুণের হৃদয়ে। ‘ঘোস্ট’, ‘ইনডিসেন্ট প্রপোজাল’, ‘আ ফিউ গুড মেন’, ‘স্ট্রিপটিজ’, ‘জিআই জেন’ প্রভৃতি সিনেমা এখনো দর্শক খুঁজে খুঁজে দেখেন। ২০২৪ সালে তিনি ফিরলেন এবং বলা যায়, তার প্রত্যাবর্তন হলো রাজকীয়। ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ সিনেমার মাধ্যমে হলো তার এ প্রত্যাবর্তন। অনেকেই বলছেন, জীবনের সেরা অভিনয়টা ডেমি এ সিনেমায়ই করেছেন। হরর-কমেডি সিনেমাটি নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবেও। আর সেখানে পেয়েছেন অভূতপূর্ব প্রশংসা।

ভ্যারাইটির সঙ্গে কথোপকথনে ডেমি জানালেন, ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করেননি তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আসলেই জানতাম না, সিনেমাটা কেমন করবে। এর মূল ভাবনা খুবই অন্য রকম। এটুকু বুঝেছিলাম, সিনেমাটা খুবই প্রশংসিত হবে অথবা একেবারেই ব্যর্থ হবে।’

কিন্তু এ সিনেমার পরিচালক কোরেইল ফ্র্যাঁগে ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ নিয়ে স্পষ্ট ছিলেন। সিনেমায় মুরের চরিত্রের নাম এলিজাবেথ স্পার্কেল। তিনি একজন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী, যিনি পরে টেলিভিশনে জনপ্রিয় হন। কিন্তু নানা কারণে তার জীবন ও ক্যারিয়ার অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তিনি জড়ান নানা আত্মবিধ্বংসী কাজে। কোরেইলের মতে, এ চরিত্রে মুর তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করেছেন।

কোরেইল বলেন, ‘চরিত্রটির জন্য এমন একজন অভিনেত্রীর প্রয়োজন ছিল, যিনি নিজেকে ও তারকাখ্যাতিকে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম, এ রকম বাস্তব অভিজ্ঞতার কোনো অভিনেত্রী সিনেমায় আসবেন না। কেননা তারা নিজেদের ভীতি নিয়ে একটু সরে থাকতে পছন্দ করেন।’ কিন্তু ডেমি মুর তা করেছেন। কেননা নিজের ভীতি ও সংকটকে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। এ নিয়ে কোরেইল বলেন, ‘ডেমি তার জীবনের এমন পর্যায়ে পৌঁছেছেন, যেখানে তিনি নিজের ভয়, অবস্থা ও অবস্থান স্বীকার করে নিয়েছেন। এছাড়া চরিত্রের সব ধরনের বৈপরীত্য ও আত্মবিধ্বংসী বিষয়গুলো তিনি খুব শান্তভাবে নিজের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করেছেন।’

সিনেমাটি নিয়ে তিনি মনে করেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরে। ডেমি বলেন, ‘দ্য সাবস্ট্যান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণাকে তুলে ধরে। আপনি যখন কোনোকিছু অর্জন করার জন্য ছুটতে থাকেন এবং আপনার যদি মনে হয়, আপনার অধিকারে যা আছে তার চেয়ে ভালো কিছু অর্জন করবেন, তাহলে এ ছোটাছুটি আপনার এরই মধ্যে যা আছে তাও কেড়ে নিতে পারে।’

এ ঘটনাগুলো ডেমির নিজের জীবনেও ঘটেছে। ১৯৮৪ সালে ‘সেন্ট এলমোরস ফায়ার’, ১৯৮৬ সালে ‘আবাউট লাস্ট নাইট’-এর পর তার ক্যারিয়ার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়। নব্বইয়ের দশকেও ছিলেন সফল, কিন্তু তার ক্যারিয়ার এরপর পড়তির দশায় যায়। তখন তিনিও হারিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে অবস্থান থেকে আবার রাজকীয় বেশেই ফিরলেন ডেমি মুর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন