সমতা লেদারের লোকসান বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেডের ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) লোকসান বেড়েছে ৬ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে। 

তথ্য অনুসারে, আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৩ পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১৩ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটি উদ্যোক্তা, পরিচালক ও প্লেসমেন্ট হোল্ডার বাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য দশমিক ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৬ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩৪ পয়সা।

লোকসানের কারণে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি সমতা লেদার কমপ্লেক্স।

 আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ৭ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছিল ১১ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ১০ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৩২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৪ টাকা ৩৯ পয়সা। 

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সমতা লেদার। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৯ পয়সা। 

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি সমতা লেদার। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। লোকসানের কারণে তার আগের তিন হিসাব বছরে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি।

১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে ৩৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৩৬ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৬০ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন