![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_389591_1.jpg?t=1720101098)
ভারতের সঙ্গে
১০ স্মারক স্বাক্ষর দেশের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তার হুমকি তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (৩০ জুন) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক
কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ভারত সফর এবং এ সফরে সম্পাদিত চুক্তি বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল
বলেন, সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান অবৈধ মাফিয়া সরকার
প্রধান শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে তা গোলামির নবতর সংস্করণ
মাত্র। কানেক্টিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের এক অংশ থেকে আরেক অংশ পর্যন্ত
রেল যোগাযোগের নামে করিডোর প্রদানের মাধ্যমে যা করা হয়েছে তাতে আমাদের সার্বভৌমত্ব
ও জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।
অতীত চুক্তির
কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নিশ্চয়ই ১৯৭২ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের
গোলামি চুক্তির কথা স্মরণ আছে। ৫২ বছর পর সে ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুন ভারতের সাথে সমঝোতার
আড়ালে যেসকল চুক্তি করা হলো তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য ভারতের গোলামে পরিণত করবে।
এর ফলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব চুক্তি—স্মারকের
মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা
ও নিরাপত্তার অংশে পরিণত করা হয়েছে, যা খুবই বিপজ্জনক এবং দেশের স্বাধীনতার প্রতি
হুমকি।
ভারতের সঙ্গে
চুক্তির ফলে দেশ বাফার স্টেটে পরিণত হবে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটি শান্তিপূর্ণ
সহাবস্থান ও জোটনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী। বস্তুত, এ সকল সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে শেখ
হাসিনা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক ভূ—রাজনীতিতে নিরাপত্তা কৌশলগত বাফার স্টেট
হিসেবে ভারতকে ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে চায়। এর ফলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে আঞ্চলিক
ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জটিলতার মধ্যে জড়িয়ে পড়বে।
নতুন সাতটি
চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যে সাতটি সমঝোতা স্মারক নতুন করে সই করা হয়েছে,
সেগুলোর প্রায় সবগুলোই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল কেন্দ্রিক। প্রয়োজনের সময় বাংলাদেশ
ভূখণ্ডকে ভারতের সামরিক ও বেসামরিক পণ্য পরিবহনের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
‘চিকেন নেক’কে বাই—পাস করে ব্যবহার করার সুদূরপ্রসারী মহাপরিকল্পনা
থেকেই এসব সমঝোতা চুক্তি করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে
জলাঞ্জলি দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদে ভারতের গোলামি চুক্তির গভীর ফাঁদে ফেলার সেই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
জাতীয় স্বার্থ—বিরোধী এহেন চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না।