![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_390118_1.jpg?t=1720325588)
তিন দফা দাবিতে সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে মহাখালীর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ফটকে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর আন্দোলনাকারীদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়।
তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলে পরিচালনা পর্ষদ ও বিভাগীয় নির্বাহী পরিষদে ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার দেয়া, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে বিএইচএমএস ডিগ্রীধারীদের নিয়োগ দেয়া এবং সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত আসন ৫০ থেকে ১০০তে উন্নীত করা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের (২০২৩) আলোকে নবপ্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল’ এর পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী পরিষদ গঠনে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে প্রকৃত উন্নয়ন ও ডিপ্লোমা কলেজসমূহের মান উন্নয়নে কাউন্সিলের পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান পদসহ বিভিন্ন পদে বিএইচএমএসসহ উচ্চতর ডিগ্রীধারী ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োগ/মনোনয়নের বিবেচনার অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে বোর্ডের বিভিন্ন পদে ডিএইচএমএস (ডিপ্লোমা) ডিগ্রিধারীদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ফলে বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের উল্লেখ করার মতো মান উন্নয়ন হয়নি।
জানা যায়, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় দুই পদ্ধতি চালু রয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এমবিবিএস সমমানের বিএইচএমএস ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের অধীনে (বর্তমান কাউন্সিল) ডিএইচএমএস (ডিপ্লোমা ই হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) ডিগ্রি।
উল্লেখ্য, দেশে সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ রয়েছে একটি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৯ সালে রাজধানীর মিরপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজও রয়েছে একটি। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক ডিপ্লোমা কলেজ রয়েছে।