কুড়িগ্রামে বন্যায় পানিবন্দি ২৫ হাজার মানুষ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

ছবি : বণিক বার্তা

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানির পরিমাণ বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির পরিমাণ অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার যথাক্রমে ৬৩ ও ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে ক্রমাগত প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যায় বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বাড়তি এ পানির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত কুড়িগ্রামবাসী। চরাঞ্চলে ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে থাকায় গবাদি পশুসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে অনেক পরিবার। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার নতুন জেগে ওঠা চরগুলো প্রায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে করে পরিবারগুলো চরের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

উলিপুর উপজেলার পূর্ব বালাডোবা চরের বাসিন্দা আফজাল প্রামাণিক জানান, ঘরের প্রায় চাল পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। থাকার কোনো উপায় নেই, তাই স্ত্রী-সন্তান, গরু-ছাগল নিয়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি। খুব কষ্টে দিন কাটছে। অন্যদিকে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ঘরবাড়িসহ নিম্নাঞ্চলের সড়কগুলো। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। এসব এলাকায় নৌকাই হয়ে উঠেছে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার বিভিন্ন ফসলের খেত।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, জেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১৭৬ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে যার অনেকটাই বিতরণ করা হয়েছে এবং বেশ কিছু এখনো মজুদ আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন