বাজেট প্রতিক্রিয়া

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে আরো স্মার্ট হতে হবে

আহমেদ আমিনুল ইসলাম

ছবি : বণিক বার্তা

সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা নিয়ে রাজনীতি ও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। সংস্কৃতিসচেতন মানুষ হিসেবে আমাদের পর্যবেক্ষণ ভিন্ন—আলোচনার ক্ষেত্রটিও ভিন্নতর। কেবল সাংস্কৃতিক খাতের বাজেট নিয়ে আমাদের স্বপ্ন, প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশের মিশন-ভিশন রূপায়ণের কথকতার মধ্যে আলোচনার পরিসর কল্পিত। 

বরাবরের মতো এবারো বাজেট ঘোষণায় দেখা গেল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ অন্যান্য অনেক মন্ত্রণালয়ের চেয়ে কম। প্রস্তাবিত বাজেটে তিন অংকের ঘরে যে কয়টি মন্ত্রণালয়ের বাজেট, এর মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দ্বিতীয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ৯৩২ কোটি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে ৭৭৯ কোটি এবং বস্ত্র ও পাট খাতে ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আর সব মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ চার অংকের ঘরে। অর্থাৎ হাজার কোটি টাকার ওপর। 

উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ৬৯৯ কোটি টাকা। অপরিকল্পিত হলেও প্রতিবছর বরাদ্দের পরিমাণ সামান্য বাড়িয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা হয় মাত্র। এবারের বাজেটেও বরাদ্দের সামান্য বৃদ্ধি আছে। কিন্তু মন্ত্রণালটির কাজের বিস্তৃত পরিসরের তুলনায় বরাদ্দের দিকে তাকিয়ে হতাশ হতেই হয়। হতাশাবোধের কারণ দুটি। এক. মন্ত্রণালয় নিজে অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনাসমেত নিচ থেকে ওপরের দিকে অর্থাৎ সরকারের কাছে তাদের চাহিদা উত্থাপন করতে পারে না। দুই. সরকারও স্বেচ্ছায় ওপর থেকে দেশব্যাপী সুবৃহৎ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে অপ্রত্যাশিত কিছু আরোপ করে না। অবশ্য, আমাদের দেশে ‘না চাইলে কাউকে কিছু দেয়ার’ সংস্কৃতিও বিরল। কোনো মন্ত্রণালয় যদি কম বাজেটে চলতে পারে তাহলে স্বাভাবিক কারণেই সরকার খুশি হয়। এতে আমরা সরকারের দোষ দেখি না। মন্ত্রণালয়টিতে যেসব কর্মবীরেরা আছেন তারা বরাদ্দকৃত অর্থ কীভাবে ব্যয় করবেন তার পরিকল্পনাই করতে পারেন না! এর চেয়ে আশ্চর্যের আর কী আছে! বাংলাদেশের হাজার বছরের শাশ্বত সংস্কৃতির সুরক্ষাসহ সমকালীন সংস্কৃতিচর্চা নিয়ে মন্ত্রণালয়টির চিন্তাভাবনা কি কেবল রাজধানীকেন্দ্রিক না তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত সে প্রশ্নও আছে। পরিকল্পনার অভাবে বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারের কাছে ফেরত পাঠালে সরকার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ওপর খুশি হবে এটাও আমরা বিশ্বাস করি না। দুঃখের সঙ্গে তাই বলতে ইচ্ছা করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের অর্থ মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বিভাগ অন্যান্য আর্থিক খাত—সংশ্লিষ্ট দপ্তর, অধিদপ্তরে ন্যস্ত করলে সরকারের ব্যয়ের বদলে সঞ্চয়ই বেশি হবে!

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা আমাদের মনে আছে। সেখানে দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস এবং উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছিল। কিন্তু আমরা জানি একদিকে নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের সঞ্চার এবং অন্যদিকে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, আধুনিক ও আদর্শবান নাগরিক সৃষ্টির জন্য দেশীয় সংস্কৃতি এবং অবশ্যই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ব্যাপক। আবার এই ভূমিকা যথাযথ পালন করতে হলে বাজেটের আকার বাড়ানোরও বিকল্প নেই। কারণ সংস্কৃতিচর্চাকে কেবল নগরকেন্দ্রিক না করে তৃণমূল পর্যায়েও নিয়ে যেতে হবে। মানুষকে সাংস্কৃতিকভাবে সচেতন করতে পারলে সমাজ থেকে দুর্নীতি যেমন কমে আসবে, তেমনি অসাম্প্রদায়িক চেতনাসমৃদ্ধ প্রজন্মও তৈরি হবে। আর বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, এই প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিক—বছরে একবার-দু’বার কয়েকটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে সম্পন্ন হওয়ার নয়। এর আগে একাধিক প্রবন্ধে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পকলা একাডেমিগুলোয় ক্যাডারভিত্তিক প্রথম শ্রেণীর সংস্কৃতি কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি ও পদায়নের মাধ্যমে সংস্কৃতিচর্চায় চাঞ্চল্য তৈরির আহ্বান জানিয়েছি। 

আমরা জানি, সংস্কৃতিকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি-দাওয়া এবং আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারই নীতিগতভাবে উপজেলা পর্যায়ে ‘সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স’ তথা মিলনায়তন ও মুক্তমঞ্চ নির্মাণ এবং  প্রত্যেক জেলায় অত্যাধুনিক মিলনায়তন নির্মাণসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক মিলনায়তন নির্মাণের বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়নের কোনো তৎপরতা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও প্রতিফলিত হয়নি। প্রকৃতপক্ষে সংস্কৃতি বলতে যে এক ব্যাপক বিষয়কে বোঝানো হয় তা সরকারের পক্ষ থেকে সবসময় উপলব্ধি করা হয় না। জঙ্গি আক্রমণের ফলে সৃষ্ট সংকটকালেই কেবল সরকারি মুখপাত্রগণ সংস্কৃতিচর্চার ওপর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় মশগুল হয়েছিলেন তা আমরা দেখেছি! সংশ্লিষ্টদের ধারণা সংস্কৃতি মানেই নাচ, গান বা কবিতা আবৃত্তির মতো ‘বিচিত্রা অনুষ্ঠান’ মাত্র! জাতীয় বা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিছু মানুষ কবিতা পড়ল, গান গাইল, নাচল আর আমরা ভাবলাম বাঙালি সংস্কৃতিচর্চা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়ে গেল! প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর ধারাবাহিকভাবে সংস্কৃতিচর্চা অব্যাহত রাখতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ সম্ভব হবে না। 

একটি কথা আমাদের দৃঢ়ভাবে মনে রাখতে হবে, সর্বগ্রাসী ভারতীয় সব চ্যানেলের প্রতি এ দেশীয় মানুষের যে দুর্মর আসক্তি তার মর্মমূলে রয়েছে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি অবহেলা, অবজ্ঞা সর্বোপরি অবমূল্যায়ন। ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসী ছোবল থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নিজস্ব সংস্কৃতিকে সবার্থে শক্তিশালী রূপদান করতে হবে। নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি আমাদের অবজ্ঞা, অবহেলা আর উদাসীনতার ফাঁক গলিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতি আমাদের ড্রয়িং রুম, ডাইনিং রুম এমনকি যাবতীয় চিন্তার রন্ধে রন্ধে ঢুকে গেছে! এ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা’র চেষ্টাটিই করতে হবে। অর্থাৎ আমাদের সংস্কৃতি দিয়েই রুখতে হবে বহিঃসংস্কৃতির আগ্রাসন। কাজটি সহজ নয়। উপরন্তু, অবজ্ঞা, অবহেলা আর উদাসীনতায় গা ভাসিয়ে আমরা দীর্ঘ সময় পার করে ফেলেছি। দিন দিন পরাশ্রয়ী সংস্কৃতিই আমাদের জীবনচর্যার শেকড়ে পরিণত হয়ে গেছে। যথাসময়ে একে প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে নিজস্ব সংস্কৃতির বিলুপ্তি দেখে আফসোসই করতে হবে। আর আফসোসের সঙ্গেই একদিন দেখব, বাংলাদেশ ভূখণ্ডে বসবাস করলেও আমরা যতটা না বাঙালি তার চেয়ে বেশি ভিনদেশী হয়ে গেছি! আমাদের আচার-আচরণে বাঙালির শাশ্বত সংস্কার-সংস্কৃতির কোনো প্রতিফলনই থাকবে না! উল্লেখ্য, এরূপ আফসোস মোটেই ভারত-বিদ্বেষপ্রসূত নয় বরং নিজভূমে নিজস্ব সংস্কৃতিকে বলশালী দেখার প্রত্যাশাজাত। অর্থাৎ সাংস্কৃতিক অস্ত্র দিয়েই নিজস্ব সংস্কৃতি সুরক্ষার কৌশল গ্রহণ করতে হবে।  

বর্তমানে আমরা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের যে জায়গায় এসে উপনীত হয়েছি সেখানে সংস্কৃতি খাতকে প্রতিরক্ষা খাতের সঙ্গে তুলনা জরুরি। পাঠক হাসবেন হয়তো, কিন্তু গভীরভাবে ভেবে দেখবেন বহিঃশত্রু যখন কোনো রাষ্ট্র আক্রমণ ও দখলের চেষ্টা করে তখন সশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণা করতে হয়—যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। সে শত্রু দৃশ্যমান। কিন্তু সাংস্কৃতিক আগ্রাসন খুবই সূক্ষ্ম। সশস্ত্র যুদ্ধে বিজিত হওয়ার চেয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার হওয়া বেশি ক্ষতিকর! কোনো বহিঃশত্রু রাষ্ট্র দখল করে নিলেও সেই রাষ্ট্রের সংস্কৃতিকে সহজে ধ্বংস করতে পারে না। বরং দেশবাসী পরাধীনতার গ্লানি থেকে আত্মরক্ষার তাগিদে, রাষ্ট্রকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক চেতনাকেই ঊর্ধ্বে তুলে ধরে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কল্যাণেই জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়। কিন্তু কোনো দেশের মানুষ যদি সাংস্কৃতিক বোধ, বুদ্ধি, রুচি বা চেতনাগতভাবে ভিনদেশী ভাবাপন্ন হয়ে যায় তবে সে দেশ স্বাধীন-সার্বভৌম হলেও তা অন্তঃসারশূন্য—এ কথা উল্লেখেরই অবকাশ রাখে না! 

হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের লীলাভূমি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক রুচি যদি পরনির্ভরশীলতায় আক্রান্ত-আচ্ছন্ন হয় তবে তা খুবই লজ্জার! এরূপ আক্রান্ত-আচ্ছন্নকে কোনো সমরাস্ত্রই রক্ষা করতে পারবে না? তাই নিজ-ভূমির স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সংস্কৃতির সুরক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে। সশস্ত্র যুদ্ধ প্রকট ও প্রকাশ্য। পরাক্রমশালী দুর্বলকে সর্বদাই পরাস্ত করে। বিপরীতভাবে সংস্কৃতি অত্যন্ত নীরবে ও নিভৃতে মানুষকে প্রভাবিত এবং আচ্ছন্ন করে। ধীরগতিসম্পন্ন হলেও সংস্কৃতিই মানুষের মনোজগতের আমূল পরিবর্তন ঘটায়—সশস্ত্র যুদ্ধ তা পারে না। সংস্কৃতিকেও প্রতিরক্ষা খাতের মতোই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন নয় কি? কোনোক্রমে একবার মানুষের মনোজগতের পরির্বতন সাধিত হলে তা পুনরুদ্ধার কঠিন। তখন এই খাতে বাজেটের আকার দ্বিগুণ, তিন গুণ করলেও কোনো ফল পাওয়া যাবে না। ততদিনে মানুষের আত্মবিসর্জন ঘটবে-বিসর্জন ঘটবে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত সাংস্কৃতিক বোধ বুদ্ধি এবং চৈতন্যগত উপলব্ধিরও। সে সঙ্গে হারিয়ে যাবে বাঙালির সংস্কৃতির বিভিন্ন আঙ্গিক ও উপাদান। 

আমরা মনে করি, এ খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ নিশ্চিতের মাধ্যমে বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তথ্যপ্রযুক্তির অত্যাধুনিক কৌশল কাজে লাগিয়ে পরিবেশনার উপযোগী করে দেশবাসীকে নিজস্ব সংস্কৃতির দিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব—মানুষকে নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কেও গভীরভাবে সম্পৃক্ত করা সম্ভব। কিন্তু সংস্কৃতি খাতের বাজেট বরাদ্দ প্রতি বছরই আমাদের হতাশ করে! রাজনৈতিক মঞ্চ কিংবা টেলিভিশনের টকশোয় মেঠো বক্তৃতার আকারে যারা খুব স্বচ্ছন্দে বলে থাকেন ‘বিগত বছরের তুলনায় সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বেড়েছে’—তাদের কাছে আমাদের বিনীত প্রশ্ন, কেন এই অপরিণামদর্শী বরাদ্দ বৃদ্ধি! কী পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে নামমাত্র এই বরাদ্দ বৃদ্ধি? আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দেখতে চাই। 

সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে বাজেটের ক্ষুদ্রাকার বরাদ্দের অর্থও যখন সরকারের কোষাগারে ফেরত যায় তখন আমাদের বুঝতে কষ্ট হয় না, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় শুধু আর্থিকভাবেই অসচ্ছল বা দারিদ্র্যক্লিষ্ট নয়, চিন্তা-চেতনা ও মেধাগতভাবেও দরিদ্র ও নিম্ন স্তরের। আবার এও হতে পারে, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অযোগ্য কর্মচারীদের ‘ডাম্পিং জোন’ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় টিকে আছে মাত্র! তাই দুঃখ নিয়েই বলতে হয়, মাত্র তিন অংকের বরাদ্দকৃত অর্থই সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে যে মন্ত্রণালয় ব্যয় করতে অপারগ এক হিসেবে তো সেই মন্ত্রণালয়ই বিলুপ্ত হওয়া উচিত!

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বারবারই আমাদের স্বপ্ন ভাঙে—প্রত্যাশার বাহু গুটিয়ে জড়সড় করে দেয়। তবু এ মন্ত্রণালয়ের নিদ্রাভঙ্গের আহ্বান জানাই। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করতে হলে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীকে সবার আগে স্মার্ট হতে হবে। বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরতের ঘটনায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ‘আনস্মার্ট’ ও ‘অদক্ষতা’র চূড়ান্ত রূপটি প্রকাশ পায়! এদের নিয়ে জননেত্রী কীভাবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের বৈতরণি পার হবেন তা ভাবলেও বিস্ময় জাগে! বিভিন্ন সময়ে একাধিক নিবন্ধে আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে ‘স্মার্ট’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বরাদ্দদৃষ্টে বাজেট-উত্তর হতাশা নিয়েও পুনরায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট হওয়ার আহ্বান জানাই। 

আহমেদ আমিনুল ইসলাম: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন