সেকেন্ডে ৪টি ফুটবল মাঠের সমান উর্বর ভূমি হারাচ্ছে পৃথিবী

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী মরুকরণ এতটাই তীব্র হয়েছে যে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় চারটি ফুটবল মাঠের সমান উর্বর ভূমি হারিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ। খবর আনাদোলু।

এ হিসাবে বার্ষিক ১০ কোটি হেক্টরেরও বেশি উৎপাদনশীল ও উর্বর জমি হারিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ জানায়, ১৯০০ সাল থেকে খরার কারণে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ মারা গেছেন। এ পরিস্থিতি ২০০ কোটির বেশি মানুষকে কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত করেছে।

আগামীকাল ১৭ পালিত হতে যাচ্ছে মরুকরণ ও খরা প্রতিরোধ দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো, ‘ভূমির জন্য ঐক্যবদ্ধ: আমাদের উত্তরাধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ’।

ইউএন কনভেনশন টু কমব্যাট ডট (ইউএনসিসিডি) অনুসারে, স্থলভাগের পুরো বাস্তুতন্ত্রের প্রায় ৮৪ শতাংশ খরা-সম্পর্কিত দাবানলের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জসহ এসব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন খরার ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে তুলবে।

বর্তমানে ৭০ শতাংশেরও বেশি দেশ খরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে জাতীয় নিরাপত্তা সমস্যা হিসেবে দেখছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অভিবাসন বেড়ে যাওয়ার উদ্বেগ। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৪৫ সালের মধ্যে মরুকরণের কারণে ১৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের হিসেবে, ২০৫০ সালের মধ্যে খরা, পানি ঘাটতি, ফসলের উৎপাদনশীলতা হ্রাস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও জনসংখ্যার অতিঘনত্বের মতো কারণে ২১ কোটি ৬০ লাখের মতো মানুষ অভিবাসনে বাধ্য হতে পারে।

বর্তমানে ৩৬০ কোটি মানুষ এমন অঞ্চলে বাস করে যেখানে প্রতি বছর কমপক্ষে এক মাস পানির অভাব থাকে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৪৮০ থেকে ৫৭০ কোটি পর্যন্ত হতে পারে।

গত এক শতকে ৪৪ শতাংশ খরা সংগঠিত হয়েছে আফ্রিকায়, যা বিশ্বের জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশিকে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া সর্বশেষ ২০ বছরে ১৩৪টি খরার মধ্যে ৭০টি ওই অঞ্চলে হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, আফ্রিকা দুই-তৃতীয়াংশ ভূমির এরই মধ্যে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে, যা আনুমানিক ৪৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন