প্রবাসী
কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরে অর্থাৎ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত (১১ জুন ২০২৪)
১১ লাখ ১৪ হাজার ৩১২ জন নারী কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি নারী
কর্মী গেছেন সৌদি আরবে।
রোববার (২৩
জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি। সরকারি দলের সদস্য
মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে প্রতমিন্ত্রী জানান, বিদেশে কর্মী প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এগুরুত্ব
বিবেচনায় সরকার অধিক হারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ অব্যাহত
রেখেছে। বেসরকারি খাতকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণের অংশ হিসেবে
বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে লাইসেন্স দেয়া হয়ে থাকে। এজেন্সিসমূহ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটির) বহির্গমন
ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশে কর্মী প্রেরণ করছে।
প্রতিমন্ত্রী
জানান,
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের
নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড
সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিজি, মালয়েশিয়াসহ
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিয়মিতভাবে স্বল্প খরচে বা বিনা খরচে কর্মী প্রেরণ করা
হচ্ছে।
এছাড়া শ্রমিকের
অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে কেহ কর্ম অক্ষম হলে আর্থিক সহায়তা
প্রদানের মাধ্যমে শ্রমিক পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা গত ১২ বছরে ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ
৬৮ হাজার ৩৫৫ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন শ্রম ও
কর্মসংস্থানমন্ত্রী মো নজরুল ইসলাম। সরকারি দলের সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডলের
লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি তিনি আরো জানান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অন্যতম কাজ হচ্ছে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ও
অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল সেক্টরের শ্রমিকের কল্যাণ ও সুরক্ষা দেয়া। এ লক্ষ্য অর্জনে
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন
প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার পরিযায়ী শ্রমিকসহ
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, কর্মরত অবস্থায় কোনো শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে বা কোনো
শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে কেউ কর্ম অক্ষম হলে
আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে শ্রমিক পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
সরকারি
দলের এস এম আতাউল হকের প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমেলের
তাণ্ডবে সারা দেশে টাকার অংকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
একই দলের
মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমেলে মৃত্যের সংখ্যা ২০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের
সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৮১৭ জন। দুর্যোগ
মোকাবিলায় নগদ ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিন টন চাল, ১১ হাজার ৫০০
ব্যাগ শুকনো খাবার, দুই কোটি ৪৫ হাজার
টকার শিশু খাদ্য, দুই কেটি ৪৫ লাখ
টাকার গো-খাদ্য, ৩০০ বান্ডেল ঢেউটিন ও গৃহমঞ্জুরি
বাবদ ৯ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।