পুলিশের
সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দ্বিতীয়
দফার তলবেও হাজির হননি। রোববার (২৩ জুন) দুদকে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে তার
বক্তব্য দেয়ার দিন নির্ধারণ করা ছিল। তিনি লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। দুদক বলছে, হাজির না হওয়ায় এখন আইন ও বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা
নেয়া হবে।
এক প্রেস
ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ কথা জানান। তবে পরবর্তী ব্যবস্থার ব্যাখ্যা তিনি দেননি।
এই
প্রসঙ্গে জানতে চাইল দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড প্রসিকিউশন) মঈদুল
ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ডাকাডাকি তলবের নাটকের অবসান হওয়া উচিত এখনই। কারণ হচ্ছে
দুদকের বিধিতেই আছে কারো বিরুদ্ধে যদি ক্রেডিবল ইনফরমেশন পাওয়া যায় তাহলে সরাসরি
মামলা করা যায়। তার সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করা হয়েছে। ক্রোক-ফ্রিজের জন্য একটা
প্রাইমারি স্যাটিসফেকশন দরকার ছিল। সেটা হয়ে গেছে। দুদকের হয়েছে। আদালতেরও হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে মামলা করার মতো প্রাথমিক উপাদান আছে। এছাড়া আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত
আছে,
কারো বিরুদ্ধে যদি জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান বা সম্পদ বিবরণী চাওয়া ছাড়াই
মামলা করা যায়। সুতরাং, আমি মনে করি, অযথা এই টানাটানি না করে দ্রুতই মামলার দিকে যাওয়া উচিত।’
তিনি আরো
বলেন,
‘মামলা করার পর তদন্তকালেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার
সুযোগ আছে। মামলা প্রমাণ না হলে অব্যাহতির সুযোগ আছে। সময়ক্ষেপণ করা অর্থহীন।’