কলা কেন্দ্রে চলছে ‘জলজ’ ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘বপন’

ফিচার প্রতিবেদক

ছবি: আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ

ঢাকায় নিয়মিত চলছে শিল্প প্রদর্শনী। সে ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে দুটি প্রদর্শনী। এর একটি আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে, অন্যটি কলা কেন্দ্রে।

গতকাল ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘বপন’ শীর্ষক মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রদর্শনী। উত্তরকল্প ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন আনিকা তাসনিম, বিপাশা হায়াত, জাফরিন গুলশান, গোলাম ফারুক সরকার, খন্দকার নাসির আহমেদ ও সুমনা আখতার। প্রদর্শনীটি কিউরেট করেছেন গোলাম ফারুক সরকার।

বাংলাদেশের মূল জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক যে কৃষি পেশায় নিয়োজিত, যারা সমগ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য জোগানোর ভার বহন করেন। বপন নামের প্রদর্শনী সে কৃষক ও কৃষির মূল্যায়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা আহ্বান করে; অন্বেষণ করে এর অন্তর্গত নানা স্তর। দর্শন, অনুভূতি ও কলা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচলিত ব্যবস্থাপনার গভীরে আলোকপাত করে পুনরায় সংলাপের সূত্রপাত করতে শিল্পীদের এ সম্মিলিত সৃষ্টিশীল প্রয়াস। কাপড়, জুট, আলোকচিত্র, পেইন্টিং, বেত পণ্য, জলরঙ, ধানসহ আরো অনেক মিশ্র উপাদান দিয়ে সাজানো এ বহুমাত্রিক প্রদর্শনীতে থাকছে প্রায় ৫০টি কাজ। বিভিন্ন প্রকাশ রূপ ও মাধ্যমের ভিন্ন ব্যাকরণ এ প্রদর্শনীর বিষয় বস্তুতে নতুন মাত্রা যোগ করে দর্শক মহলে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেবে বলে আশা করেন আয়োজকরা ।

রোববার বাদে প্রদর্শনীটি চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

এদিকে কলা কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে শিল্পী সুমন বর্মণের ভাস্কর্য ও রেখাচিত্র নিয়ে প্রদর্শনী ‘জলজ’। নবীন শিল্পী সুমন বর্মণ। তার ভাস্কর্যে প্রকৃতি, মানুষ ও জীবন ভাবনার রূপ থাকে। উপাদান, কাজের প্রক্রিয়া ও কাঙ্ক্ষিত ফর্মের জন্য কর্ম, যা তার চিন্তার গঠন, বৈশিষ্ট্য আর ভালোবাসার মনঃসংযোগে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে।

কলা কেন্দ্রে প্রদর্শিত সুমনের ভাস্কর্যগুলোর মূল উপাদান কাঠ। কাঠ কেটে খোদাই স্থাপত্যে, আসবাবপত্রে, ভাস্কর্যে ব্যবহার সুপ্রতিষ্ঠিত, প্রাচীন। প্রস্তুত হয়ে থাকা বা নিজের তৈরি কাঠের সমতল জ্যামিতিক আকার, গঠন, স্বতন্ত্রতা ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যেমন গিট, ফাটল ইত্যাদি আমলে নিয়ে, সমন্বয় করে—হাতুড়ি—বাটালি—আর শারীরিক সংযোগে-হ্রাস প্রক্রিয়ায়, আঘাতে, শব্দে, পূর্ণ মনঃসংযোগের কাজ। জ্যামিতিক আকার, কোণকে ভেঙে সমতলকে অসমতল, প্রবহমান, গতিশীল রূপ, নকশা তৈরি করেন। এ নকশা জলের শরীরের মতো। গড়নগুলো বিশেষ নান্দনিক আবরণ পায়। স্থির, অন্তর্মুখী, নির্লিপ্ত মনুষ্য শরীর সাদৃশ্য আকৃতিগুলো কখনো দাঁড়ানো, উৎসুক ভঙ্গি, কখনো মেলে-হেলে, ঝুলে থাকায় অবস্থার জানান দেয়। জলের নকশায় ত্রিমাত্রিক গড়নগুলো প্রকৃতি, মানুষ আর তার স্থানিক অস্তিত্ব নিয়ে ভাবনা তৈরি করে।

কলা কেন্দ্রের প্রদর্শনীটি ২৯ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন