পঞ্চগড়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

বাংলাদেশ এখন উত্তরণ সময়ের মধ্যে আছে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন উত্তরণ  সময়ের মধ্যে আছে। আগামী দিনে নতুন যে প্রযুক্তিগত বিপ্লব আসছে, মানসম্মত শিক্ষার ক্ষেত্রে কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষা এজন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারিগরি দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নারীদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। তার চেয়ে জরুরি কারিগরি শিক্ষার প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করা। দৃষ্টিভঙ্গি যদি আমরা না বদলাই, তাহলে বাংলাদেশের আগামী দিনের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে আমরা একধরনের প্রতারণা করব।

পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামের হলরুমে আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থানীয় কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা শীর্ষক সংলাপ আয়োজন করে সিপিডি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এতে সহযোগিতা করে। সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পঞ্চগড়- আসনের সংসদ সদস্য নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা। সময় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, সিপিডির ফেলো কোর গ্রুপ সদস্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

গবেষক মোজাহিদুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল মালেক, পঞ্চগড় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন ডালী, জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মকছুদুল কবীর প্রমুখ।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। শুরুতেই বাংলাদেশে সরকারি কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন তুলে ধরেন তিনি।

সংলাপে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, চেম্বারের প্রতিনিধি, উদ্যোক্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন। এরপর উন্মুক্ত আলোচনায় মতামত দেন সব শ্রেণীর মানুষ। বক্তারা পঞ্চগড়ে কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা, দক্ষ শিক্ষক শিক্ষা উপকরণের অভাব, অভিভাবকদের অসচেতনতা, প্রচার-প্রচারণার অভাব, আন্তরিকতার ঘাটতি, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও তার ফলোআপ না করা, উদ্যোক্তাদের পুঁজির অভাব, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ না পাওয়া, বাজার অনুযায়ী ট্রেড গঠন না করা, শিক্ষার আধুনিকায়নের অভাব, বাজেটে বরাদ্দ কম দেয়াসহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

সাংসদ নাঈমুজ্জামান ভূইয়া বলেন, ‘শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা আমাদের সন্তানদের বড় ক্ষতি করে ফেলেছি। শিক্ষার উদ্দেশ্য হয়ে গেছে এখন চাকরি পাওয়ার জন্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরেও সরকারের ২৩টি মন্ত্রণালয়, ৩২টি বিভাগ কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়। ১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে দক্ষ জনবলের অভাবে। কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেয়াসহ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর আহ্বান জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন