ছবি : বণিক বার্তা কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কে কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত থাকায় দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার বিকালে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে। রৌমারী উপজেলার কুটিরচর সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বক্স কালভার্টটি মেরামত হওয়ায় ঈদের আগেই ফেরি সার্ভিস চালুর কথা বললেও তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ঈদের পর ফেরি চালু করল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের আগে কালভার্টটি মেরামত করা হলেও নৌঘাটের ইজারা নিয়ে সিন্ডিকেটের কারণে চালু করা হয়নি। এতে ঈদে ঘরে ফেরা ও ঈদের পর ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরা নৌপথের যাত্রীরা ফেরি সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
রেল, নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান জানান, নৌবন্দরে ফেরি সার্ভিস যুক্ত হওয়ার পর থেকে নদী পারাপারে পরিবহন সেক্টরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। বিশেষ করে পণ্যবাহী পরিবহন। কিন্তু ছোট একটি ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকবে কেন। চালু করা হলো তাও ঈদের ছয়দিন পর। কালভার্টের পাশঘেঁষে বাইপাস সড়ক করা যেত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।
এদিকে ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকার সুযোগে নৌঘাটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠলেও প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আর্থিক সুবিধা নিয়েই চিলমারী বন্দরে ফেরি সার্ভিসে কর্মরত কর্মচারী-কর্মকর্তারা পরিবহন সংকট ও নাব্যতা সংকট দেখিয়ে বন্ধ রেখেছিলেন ফেরি। এ সুযোগেই ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার সুযোগ নেয় ঘাট ইজারা কর্তৃপক্ষ।
তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পারাপারের জন্য গাড়ি ঘাটে না আসায় ঈদের আগে ফেরি সার্ভিস চালু করা যায়নি। ঘাটে সাতটি পরিবহন পারাপারের জন্য আসায় মঙ্গলবার বিকালে ফেরি কদম রৌমারী ঘাট থেকে চিলমারী নদীবন্দরে আসে। গতকাল সকাল ১০টায় ফেরিটি ১০টি পরিবহন নিয়ে রৌমারী ছেড়ে যায়। পারাপারের জন্য গাড়ি এলে ফেরি সার্ভিস নিয়মিত চালু থাকবে।’
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি যানবাহন চলাচলের সময় রৌমারীর কুটিরচর এলাকায় পুরনো একটি বক্স কালভার্ট ভেঙে গেলে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
