যুক্তরাষ্ট্রের ভুট্টা সয়াবিন ও গম রফতানি ৫ শতাংশ কমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমের শুরু থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ভুট্টা, সয়াবিন ও গম রফতানি আগের মৌসুমের তুলনায় ৫ শতাংশ কমেছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) গ্রেইন ট্রান্সপোর্টেশন রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের তুলনায় এবার অন্তত ১৯ শতাংশ বেশি ভুট্টা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেয়। কিন্তু দেশটির শীর্ষ ভুট্টা ক্রেতা চীন এ বছর শস্যটির আমদানি প্রায় ৭২ শতাংশ কমিয়েছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বদলে ব্রাজিল থেকে কম দামে ভুট্টা আমদানি বাড়াচ্ছে। গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রাজিল ৪ কোটি ৫২ লাখ টন ভুট্টা রফতানি করেছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই পাঠানো হয়েছে চীনে।

এদিকে ব্রাজিল বড় একটি অংশই চীনে রফতানি করে দেয়ায় অন্য ভুট্টা আমদানিকারক দেশগুলো বিপাকে পড়েছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে শস্যটির রফতানি বাড়াতে সুযোগ করে দিয়েছে বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে মেক্সিকোয় যুক্তরাষ্ট্রের ভুট্টার চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।

এ বছর সয়াবিনের রফতানি লক্ষ্যমাত্রাও ১৯ শতাংশ বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইউএসডিএর প্রাক্কলন অনুযায়ী, মৌসুমের শুরু থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ শতাংশ কমে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন রফতানি প্রধান পাঁচ বাজারেই কমেছে। এর মধ্যে মিসরে ৫২ শতাংশ, চীনে ২৫, জাপানে ৫ ও মেক্সিকোয় ২ শতাংশ কমেছে। মূলত ব্রাজিলে রেকর্ড উৎপাদনের কারণেই রফতানিতে এমন ধস নেমেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবার ৩ শতাংশ বাড়িয়ে গমের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু মৌসুমের শুরু থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শস্যটির রফতানি ৯ শতাংশ কমেছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ লাখ টন, যা গত মৌসুমের তুলনায় ৬১ শতাংশ বেশি, তবে তিন বছরের গড় রফতানির তুলনায় ১৮ শতাংশ কম।

ইউএসডিএ জানায়, ২০২৪-২৫ বিপণন মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্রের ভুট্টা, সয়াবিন ও গম রফতানি বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। এর মধ্যে ভুট্টা রফতানি ২ ও সয়াবিন ৯ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া গম রফতানি বাড়তে পারে ৭ শতাংশ। সয়ামিল রফতানি বেড়ে রেকর্ড ১ কোটি ৬৫ লাখ টনে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইউএসডিএ জানায়, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো থেকেও এসব শস্যের সরবরাহ বাড়বে। ফলে রফতানি বাজারে প্রতিযোগিতাও তীব্র হবে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের হিস্যা সংকুচিত হয়ে পড়তে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন