আইএমএফের ঋণ কর্মসূচিতে অগ্রগতি

রেকর্ড সর্বোচ্চে পাকিস্তানের শেয়ারবাজার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা

ঋণ কর্মসূচির দ্বিতীয় ও শেষ পর্যালোচনা শেষে গত সপ্তাহেই মতৈক্যে পৌঁছেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং পাকিস্তানের কর্মকর্তারা। এতে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতিতে কিছুটা প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশটির শেয়ারবাজারে। দেশটির শেয়ারবাজারের বেঞ্চমার্ক সূচক গতকালই রেকর্ড সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। রয়টার্সের খবর অনুসারে পাকিস্তানের বেঞ্চমার্ক সূচক কেএসই-১০০ গতকাল রেকর্ড ৬৭ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। এর আগে সূচকটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। সে সময় কেএসই-১০০ সূচক পৌঁছেছিল ৬৭ হাজার ৯৪ পয়েন্টে। গতকাল দিনশেষে সূচকটি স্থির হয়েছে ৬৭ হাজার ১৪২ পয়েন্টে। 

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারীকরণ কর্মসূচি ও আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি সংক্রান্ত ইতিবাচক খবরে বিদেশী ও স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার প্রবণতা বেড়েছে। এতে গতকাল একদিনেই সূচক বেড়েছে ৫৯৪ পয়েন্ট।

এর আগে ২০ মার্চ পাকিস্তান ও আইএমএফের মধ্যে ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির দ্বিতীয় ও শেষ পর্যালোচনা শেষে দুই পক্ষের কর্মকর্তারা মতৈক্যে পৌঁছান। আইএমএফের পর্ষদের অনুমোদন পেলে সংস্থাটির কাছ থেকে ১১০ কোটি ডলার পাবে দেশটি। দীর্ঘমেয়াদি বেইলআউট এবং ঘাটতির রাশ টেনে ধরা, রিজার্ভ বাড়ানো ও ক্রমবর্ধমান ঋণ পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কার অব্যাহত রাখার বিষয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। 

লোকসানি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে বেসরকারীকরণে দীর্ঘদিন স্থগিত থাকা প্রক্রিয়াটিকে সামনে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের নতুন সরকার। অর্থ সংকটে থাকা দেশটির সরকারকে এসব সংস্থার পেছনে মূল্যবান তহবিল ব্যয় করতে হচ্ছে।

অর্থনৈতিকভাবে দীর্ঘদিন ধরেই বেশ কঠিন সময় পার করছে পাকিস্তান। অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারণে এক পর্যায়ে দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ঠেকেছিল দেশটি। অতি প্রয়োজনীয় জ্বালানি কেনার অর্থও ছিল না দেশটির কাছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে শেষ পর্যন্ত আইএমএফের দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। এ অবস্থায় গত বছরের জুলাইয়ে দেশটিকে ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দিতে সম্মত হয় আইএমএফ। এতে দেশটির অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। ঋণ অনুমোদনের খবরে গত বছর দেশটির পুঁজিবাজারের সূচক একদিনেই ২ হাজার ৪০০ পয়েন্টের বেশি বেড়েছিল। ব্লুমবার্গের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, পাকিস্তানের পুঁজিবাজার সে সময় বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা বাজারের তালিকায় উঠে এসেছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন