কাঙ্ক্ষিত দাম মিলছে না পঞ্চগড় চিনিকলে পড়ে থাকা চিটাগুড়ের

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I পঞ্চগড়

ছবি : বণিক বার্তা

কয়েক দফা দরপত্র আহ্বান করেও বিক্রি হয়নি পঞ্চগড় চিনিকলে পড়ে থাকা ২৪১ টন চিটাগুড়। চার বছর ধরে পড়ে থাকায় এর গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। মিল কর্তৃপক্ষ বলছে, এভাবে চিটাগুড় পড়ে থাকলে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। গুড় বিক্রির জন্য তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া রাজধানীর ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। রাজধানী থেকে দূরত্বের কারণে পরিবহন খরচ বেশির আশঙ্কায় প্রতিষ্ঠানগুলো অনীহা প্রকাশ করছে। তাছাড়া কয়েক বছর ধরে চিটাগুড় আমদানি হওয়ায় দেশী চিটাগুড় বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় চিনিকলে ২০০৯-১৮ সাল পর্যন্ত ২১ হাজার ১৩৬ টন চিটাগুড় উৎপাদন হয়েছে। প্রতি বছর লোকসানের কারণে ২০২০ সালে পঞ্চগড় চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় ২ হাজার ৭৫৫ টন চিটাগুড় মজুদ ছিল। মিল বন্ধের পর ২০২০ সালের ৫ মে প্রথম টেন্ডারে ১৬ হাজার ৭৫৭ টাকা দরে ৫০০ টন গুড় বিক্রি করা হয়। এছাড়া ২০২১ সালের ১ জুন ২৬ হাজার ১৫১ টাকা দরে ৫০০ টন, ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ২৯ হাজার টাকা দরে ২৫০, ২০২৩ সালের ১৬ মে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা দরে ২৫০ এবং ৩০ আগস্ট ১৮ হাজার ১০০ টাকা দরে ২৫০ টন চিটাগুড় বিক্রি করা হয়। এছাড়া ২০২১ সালে দুই দফায় চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোং সুগার মিলে ৯০৯ টন চিটাগুড় পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ৫ মার্চ চিটাগুড় বিক্রির দরপত্র আহ্বান করা হলেও শুধু রমজান ট্রেডার্স দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। তবে সন্তোষজনক দাম না পাওয়ার কারণে চিটাগুড় বিক্রি সম্ভব হয়নি। আবারো দরপত্র প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনে পাঠিয়েছে পঞ্চগড় চিনিকল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চিটাগুড় বিক্রির নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালার বাইরে অন্য কোনো উপায়ে বিক্রির সুযোগ নেই। চিটাগুড় বিক্রির জন্য বেশ কয়েকবার দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না। চার বছর ধরে চিটাগুড় পড়ে থাকায় গুণগত মান কিছুটা কমে গেছে। এ কারণে ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ কমে গেছে। তাছাড়া কয়েক বছর ধরে চিটাগুড় আমদানি হওয়ায় দেশী চিটাগুড়ের চাহিদা কমে যায়।’ তবে বর্তমানে চিটাগুড় আমদানিতে জটিলতা চলছে। এ কারণে আগামীতে চিনিকলে পড়ে থাকা চিটাগুড় বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন