যবিপ্রবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিচার দাবি

উপাচার্যকে ঘেরাও অবস্থান কর্মসূচি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I যশোর

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীকে গভীর রাতে নির্যাতনের বিচার দাবি করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল প্রশাসনিক ভবনের নিচে তারা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় উপাচার্য তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে ঘেরাও করেন। জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দিলে উপাচার্যের পথ ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা ছয় দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপিও দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী থানায় অভিযোগ দেয়ার তিনদিন পার হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছে সংগঠনের নেতারা। একটি পক্ষ ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দোষারোপ করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যবিপ্রবির শহীদ মসীয়ূর রহমান হলের ৩০৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার সামনে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় চলাচল এবং সালাম না দেয়ায় মাঞ্জুরুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শনিবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং হলের প্রভোস্ট বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, ছাত্রলীগ কর্মী ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফয়সাল আহমেদ, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ইসাদ হোসেন, আল আমিন, শেখ বিপুল হাসান ও মুশফিক, ফার্মেসি বিভাগের রাইসুল হক রানার নাম উল্লেখ করা হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে আন্দোলনকারীরা ঘেরাও করে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় উপাচার্য তদন্ত কমিটি গঠন করে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দেন। এছাড়া বহিষ্কৃত ও অছাত্রদের হল থেকে বের করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নেতাকর্মীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের (টিএসসি) দ্বিতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় দুই বন্ধুর মধ্যে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, ‘ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ নেতাকর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন