ওপেক প্লাসের জ্বালানি তেল উত্তোলন কমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওপেক প্লাসের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমে ছয় মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে। এ সময় উত্তোলন কমানোর লক্ষ্য পূরণে অনেকটাই সফল হয়েছে জোটটি। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটসের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। 

অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক এবং এর সহযোগী দেশগুলো ওপেক প্লাস নামে পরিচিত। বিশ্ববাজারে দাম বাড়াতে গত বছর কয়েক দফায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রফতানি কমিয়েছে জোটটি। চলতি বছরও উত্তোলন কমানোর নীতি বহাল রেখেছে এ জোট। 

তথ্য বলছে, গত মাসে ওপেক প্লাস প্রতিদিন ৩ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন কমিয়েছে। মোট দৈনিক উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ব্যারেলে। এর মধ্যে ওপেক জোটের সদস্যরা দৈনিক ২ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন কমেছে। আর জোটের বাইরে এর সহযোগী দেশগুলো উত্তোলন করেছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল করে।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত বছর করা চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কঠোর হয়েছে ওপেক প্লাস। বিষয়টি উত্তোলন কমার ক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া লিবিয়ায় সরবরাহ ঘাটতি ও রক্ষণাবেক্ষণজনিত কারণে উত্তোলন কমার প্রভাবও রয়েছে। 

তথ্য বলছে, লিবিয়া ওপেক প্লাসের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলন কমায়নি। দেশটির শীর্ষ তেল উত্তোলন ক্ষেত্রে এল-সাহারায় বিক্ষোভকারীদের অবরোধের কারণে উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হয়। জানুয়ারিতে দেশটি দৈনিক ৩ লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন করেছে। 

এদিকে অ্যাঙ্গোলা এক মাস আগে ওপেক থেকে পদত্যাগ করেছে। কারণ দেশটি জ্বালানি তেল উত্তোলন কমাতে চায় না। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। 

এদিকে সৌদি আরব উত্তোলন সম্প্রসারণ পরিকল্পনা স্থগিত করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সর্বোচ্চ টেকসই সক্ষমতা দৈনিক ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেলে উন্নীত করার কথা ছিল। কিন্তু ওপেক প্লাসের উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গত মাসে এ পরিকল্পনা মুলতবি ঘোষণা করে সৌদি আরব। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন