দক্ষিণ কোরিয়া
টানা ৩ দিনের প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ২২ জন মারা
গেছেন। নিখোঁজ রয়েছে ১৪ জনের মতো। হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। খবর বিবিসি।
অতিবৃষ্টির
কারণে শুক্রবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় প্রদেশ উত্তর চুংচেওংয়ের বড় একটি
বাঁধের পানি উপচে বন্যা শুরু হয়। দেশটির রাজধানী সিউলসহ আশপাশের শহরগুলোতে বন্যা দেখা
দেয়।
উপদ্রুত এলাকাগুলো
থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখনও লাখ
লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশটির সেনাবাহিনীকে সহায়তার
নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক।
দক্ষিণ কোরিয়ার
রেল চলাচলের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ সব ধীরগতির এবং দ্রুতগতির কয়েকটি বুলেট ট্রেনের
চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছে। যে বুলেট ট্রেনগুলো চালু থাকবে তার অনেকগুলোর চলাচলও ব্যাহত
হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।