নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা

ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশ এগিয়ে নেবে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গতকাল গণভবনে তাকে শুভেচ্ছা জানায় আওয়ামী লীগ ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জনগণকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দিতে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তার দল দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘প্রতিবার নির্বাচনের সময় চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবেলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যেসব অধিকার আদায় করেছে, আমরা তা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

গণভবনে গতকাল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে আসেন নেতাকর্মীরা।   

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলব, আমার সব শক্তি-সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার সময় এত বড় সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা তার ছিল না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে এগোতে পারে না।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল। দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। বরং শত শত সামরিক কর্মকর্তাকে তারা হত্যা করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও হত্যা করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী তার উন্নয়নের মূলমন্ত্র তুলে ধরে বলেন, ‘কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা করিনি। ভবিষ্যৎ কী, সে চিন্তাও করি না। দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ যেন আরো সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

দলীয় নেতাদের আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘মনে রাখবেন, দল করি শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়। মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম, এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এ কথা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।’

সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে; বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার ও জয় বাংলা স্লোগানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জয়বাংলা স্লোগান আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্থান করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি।’

এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তিনি যখন দেশে ফেরেন, তখন যুদ্ধাপরাধী ও জাতির পিতার হত্যাকারীরা ক্ষমতায় ছিল। আর তার পাশে ছিল বাংলাদেশের জনগণ। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম আমাকেও বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের মতো ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে। কিন্তু দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আস্থা ছিল।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন