ক্যাম্পাসে ভ্লগিং

ব্লগ থেকে ভ্লগিং

ফিচার প্রতিবেদক

ব্লগ, ব্লগার ও ভ্লগিং। বর্তমানে নেটিজেনদের কাছে বহুল আলোচিত শব্দ। ব্লগ ও ভ্লগিং এখন এতটাই শক্তিশালী যা তথ্যপ্রবাহের পুরো ধারণাই বদলে দিয়েছে। অনলাইনে ভ্লগিং এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। ইন্টারনেটে একজন বা কয়েকজন ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত কোনো ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ বা নিজের মতামত, যুক্তি তুলে ধরার ওয়েবসাইটকে বলা হয় ব্লগ। যিনি ব্লগের জন্য কোনো আর্টিকেল লেখেন তাকে বলা হয় ব্লগার। আর লেখালেখির এ কাজটিকেই বলে ব্লগিং। একজন ব্লগার ইন্টারনেটে কোনো বিষয়ে তার নিজস্ব চিন্তাভাবনা, গবেষণা ইত্যাদি টেক্সট, ছবির মাধ্যমে নেটিজেনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন। নেটিজেনরা এসব ব্লগ পড়ে ব্লগের কমেন্টে তাদের মতামতও তুলে ধরতে পারেন। আবার এসব ব্লগ সাইটে অ্যাকাউন্ট করে যে কেউ নিজেই আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারেন। দেশে ২০০৫ সালে যাত্রা করে বাংলা ভাষার প্রথম ব্লগ সামহোয়্যার ইন ব্লগ। এরপর সচলায়তন, টেকটিউনসসহ আরো অনেক ব্লগিং সাইট নেটিজেনদের কাছে জনপ্রিয় হয়। এখনো এসব ব্লগ সাইটে লেখালেখি করেন ব্লগাররা। বর্তমানে কিছু জনপ্রিয় ব্লগিং প্লাটফর্মের মধ্যে ব্লগার ওয়ার্ডপ্রেস অন্যতম।

গত কয়েক বছর নেটিজেনদের কাছে ভ্লগিংয়ের আকর্ষণ বেড়েই চলছে। ভিডিওর মাধ্যমে ব্লগিং করাই হলো ভ্লগিং। ভ্লগিংয়ের দুটি অংশ—অডিও ও ভিডিও। এখানে তথ্য ভিডিও ও অডিওর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়। ইউটিউব ও ফেসবুক এখন ভ্লগিংয়ের জনপ্রিয় মাধ্যম। এসব মাধ্যমে যিনি ভ্লগ তৈরি করেন তিনিই ভ্লগার। ইউটিউব ও ফেসবুকে অনেকেই অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও, শিক্ষামূলক, কমেডি ও ভ্রমণের ভিডিওসহ নানা বিষয়ে ভিডিও আপলোড করেন। যার কোনো কোনো ভিডিওর দর্শক কোটি কোটি। ভ্লগিংয়ের মাধ্যমে যেমন সহজে মানুষের কাছে যেকোনো বিষয়ে দ্রুত তথ্য দেয় যায়, তেমনি এখানে রয়েছে অর্থ আয়ের অবারিত সুযোগ। বর্তমানে স্কুল শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থী, গৃহকর্মী, কৃষক বা পেশাজীবী অনেকেই ফেসবুক বা ইউটিউবে ভ্লগিং করছেন। আর্থিকভাবেও হয়েছেন স্বাবলস্বী। নির্দিষ্ট কোনো পেশায় থেকেও শুধু একটি মোবাইল বা ক্যামেরার সঙ্গে সঙ্গে কিছু সফট স্কিল থাকলেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন জনপ্রিয় ভ্লগার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন