সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষার অর্থায়নে বাংলাদেশ কি প্রস্তুত?

. আর. আমান , পরিচালক, গ্রামীণ অতি-দারিদ্র কর্মসূচি কেয়ার বাংলাদেশ

গত ১০ বছরে (২০১২-১৩ থেকে ২১-২২ অর্থবছরে) সামাজিক নিরাপত্তায় (সামাজিক ক্ষমতায়নসহ) সরকার জিডিপির প্রায় . শতাংশ ব্যয় করে আসছে।  তবে সরকারি পেনশন স্কিমের মতো কর্মসূচি বাদ দিলে এর পরিমাণ অনেক কম। অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ওইসিডি দেশগুলোর গড় রাষ্ট্রিয় বিনিয়োগ জিডিপির ২০ শতাংশ (২০১৯), যা ফ্রান্সে ৩১ শতাংশ (২০১৯), জার্মানীতে ২৫. শতাংশ (২০১৯) 

সামাজিক সুরক্ষা খাতের  অর্থায়নকে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:

সামাজিক ভাতা/ সহায়তা: মূলত দরিদ্র, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য। এর অর্থায়ন হয় কর-রাজস্বের মাধ্যমে

সামাজিক বীমা: সামাজিক বীমা হলো সুবিধাভোগীর অংশগ্রহণে/ চাঁদার টাকায় পরিচালিত স্কিম। অপারগ জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে রাষ্ট্র অনেক সময় ভর্তুকি বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।

বেসরকারি নিয়োগকারী প্রদত্ত সুবিধা: মাতৃত্বকালীন সবেতন ছুটি, মালিক-শ্রমিক যৌথ অর্থায়নে পেনশন  ইত্যাদি।

সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা কাঠামো বাস্তবায়ন করতে সরকারের রাজস্ব সক্ষমতা একটা বড় আলোচনার বিষয়। জন্য সরকার ত্রিমুখী কৌশলের চিন্তা  করতে পারে:

কম প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় কমিয়ে সামাজিক সুরক্ষা খাতের জন্য আর্থিক পরিসর বাড়ানো,

সম্পদশালী ব্যক্তি কোম্পানির ওপর করআহরণের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানো কর ফাঁকি রোধ,

. অর্থায়নের নতুন উত্স খোঁজা, যেমন প্রবাসী আয়ের টাকায় পেনশন ফান্ডের মতো ব্যবস্থা তৈরি করা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন