পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পর্ষদ সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। গতকাল অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা থেকে আলোচ্য হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি এ লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়। একই সভা থেকে এদিন ব্যাংকটির চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ২১ টাকা ৩২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৯ টাকা ৪৫ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।
ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ২০ জুন সকাল ১০টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করেছে ব্যাংকটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ মে।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৩ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩১ মার্চ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৯ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৯ টাকা ৯৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে ৫ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক।