শিশুর চোখ

শিশুর চোখ যত্ন নেবেন যেভাবে

বণিক বার্তা ডেস্ক

মডেল: উজান ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

জন্ম থেকে শুরু করে অনেকটা সময় শিশুর দৃষ্টিশক্তি বেশ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। তাই শিশুর চোখ দৃষ্টিশক্তি ঠিকঠাক রাখতে নবজাতক থেকে শুরু করে স্কুলগামী শিশুদের দৃষ্টির মাইলফলকগুলোর দিকে নজর রাখতে হবে। যদিও প্রতিটি শিশুর দৃষ্টিশক্তির বিকাশ হয় আলাদা আলাদাভাবে। তার পরও অভিভাবক সতর্ক থাকলেই শিশুর দৃষ্টিশক্তি লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখা সম্ভব। জনস হপকিন্সের চক্ষুবিশেষজ্ঞ কোর্টনি ক্রাউস জানান তেমন কিছু টিপস, যেগুলো শিশুর দৃষ্টি উন্নয়ন চোখের স্বাস্থ্য উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে।

শিশুর চাক্ষুষ ব্যস্ততা বাড়ান: বেশি বেশি কনট্রাস্ট রঙ এবং প্যাটার্নের খেলনা গৃহসজ্জার উপকরণ দিয়ে নবজাতক শিশুদের দৃষ্টিকে আরো বেশি ব্যস্ত করে তুলতে পারেন। নতুন পরিবেশে গেলে শিশুকে নতুন নতুন জিনিসের দিকে ফোকাস করার সুযোগ দিন। সেই সঙ্গে সবদিক থেকেই শিশুর সামনে কিছু জিনিস তুলে ধরুন যেন সে আরো বিস্তৃত ক্ষেত্রে নিজের দৃষ্টিসীমা প্রসারিত করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি তার সঙ্গে পিকাবু খেলতে পারেন। এতে তার হাত আর চোখের সমন্বয়ের বিষয়টা উদ্দীপিত হবে। আর স্কুলগামী শিশুদের সঙ্গে বল ক্যাচ করার খেলা খেললেও উপকার মিলবে।

ব্যালান্সড খাবার: চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিয়ম করে ভালো খাবার খাওয়াও জরুরি। খাবারে জিংক, ওমেগা- ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন , সি এবং থাকলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আম শরীরের টিস্যুগুলো পুনর্গঠন করতে বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ওমেগা- ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ রাখুন শিশুর খাবারের তালিকায়, সবুজ পাতার শাক ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারও দিন শিশুকে। ডিম বাদাম পারে শিশুর খাবার ভারসাম্যপূর্ণ করতে।

চশমার ব্যবহার: ঘরের ভেতরে বা বাইরে খেলার সময় শিশুর চোখের সুরক্ষায় ঠিকঠাক চশমা ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন সেগুলো যেন ঠিকঠাক স্ট্যাডার্ড মেনে বানানো চশমা হয়। তাতে শিশুর চোখ অনেক বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

স্ক্রিনের ব্যবহার সীমিত করুন: আগের তুলনায় এখন শিশুরা অনেক বেশি মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব ব্যবহার করে। সেখানেও শিশুকে ২০-২০-২০ নীতি অনুসরণ করতে শেখান। টানা ডিজিটাল স্ক্রিন দেখলে সে যেন ২০ মিনিট পরে ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকার বিরতি নেয়। ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর নীল আলো যদিও ভয়ংকর বলে কোনো গবেষণায় উঠে আসেনি। তবুও সেসব ক্রমাগত দেখতে থাকলে ঝাপসা বা শুষ্ক দৃষ্টির সমস্যা হতে পারে, চোখে চাপ পড়ার পাশাপাশি ফোকাস করতে সমস্যা হতে পারে শিশুর।

লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন: শিশুর চোখের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখলেই সতর্ক হন। যেমন দূরের কিছু না দেখতে চাওয়া, মাথা কাত করে দেখা, চোখ ডলা, কোনো বস্তু দেখার সময় চোখের খুব কাছে ধরা, আলোয় সংবেদনশীলতা, চোখ হাতের ব্যবহারে সমন্বয় না থাকা, দূরের কোনো কিছু পড়া বা দেখার বিষয়ে অনীহা থাকার মতো বিষয়গুলো দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এগুলো ছাড়াও শিশুকে নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষায় নিয়ে যাওয়া উচিত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন