দেশে মাথাপিছু আয় কমে ২,৭৯৩ ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয়ে। ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে চূড়ান্ত হিসাবে কমেছে মাথাপিছু আয়। মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়িয়েছে হাজার ৭৯৩ ডলার। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ওয়েবসাইটে হিসাব প্রকাশ করা হয়।

এর আগে প্রকাশ করা সাময়িক হিসাবে বিবিএস বলেছিল, ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ছিল হাজার ৮২৪ ডলার। গতকাল বিবিএসের পক্ষ থেকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) মাথাপিছু আয়ের চূড়ান্ত হিসাব দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তেলের বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্ববাজারে ডলারের দাম বেড়েছে। এতে দেশের মাথাপিছু আয় কমেছে। এর আগে যখন সাময়িক হিসাব করা হয় তখন প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা ৫৩ পয়সা। পরে গত জুনে প্রতি ডলারের দাম ৮৬ টাকা ৩০ পয়সা ধরার কারণে মাথাপিছু আয় ডলারের হিসাবে কিছুটা কমে যায়।

এদিকে চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধিও কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। সংস্থাটির চূড়ান্ত হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ১০ শতাংশ। কয়েক মাস আগে সাময়িক হিসাবে হার ছিল দশমিক ২৫। এতেও মাথাপিছু আয়ে প্রভাব পড়েছে। স্থানীয় মুদ্রার হিসাবে মাথাপিছু আয় কমেছে ৪২৩ টাকা। সাময়িক হিসাবে একজন মানুষের বছরে আয় ছিল লাখ ৪১ হাজার ৪৭০ টাকা, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে লাখ ৪১ হাজার ৪৭ টাকায়। গত ছয় মাসে বাংলাদেশী মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম অনেকটা বেড়েছে।

মাথাপিছু আয় জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার কারণ প্রসঙ্গে বিবিএস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই বছরে কভিডের ধাক্কা কাটতে না কাটতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়। গত অর্থবছরের শেষের চার মাসের বেশি সময় গেছে যুদ্ধের মধ্যে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পড়েছে সেই যুদ্ধের প্রভাব। বিনিয়োগ কমেছে। সব মিলিয়েই জিডিপি প্রবৃদ্ধি খানিকটা কমেছে। ফলে মাথাপিছু আয়ও কমে গেছে। তবে তাদের দাবি বিশ্ব প্রেক্ষাপটে প্রবৃদ্ধি খুবই ভালো এটাই প্রমাণ হয় যে বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

উল্লেখ্য, মাথাপিছু আয় কারো ব্যক্তিগত আয় নয়। একটি দেশের ভেতরে বাইরে থেকে যত আয় হয়, তার ভিত্তিতে মানুষের মাথাপিছু গড় আয় হিসাব করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন