চিনির বাজার

বাড়ল চিনির দাম, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদক

আরেক দফা বাড়ছে প্যাকেটজাত খোলা চিনির দাম। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্যপণ্যটির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে কেজিপ্রতি খোলা চিনি টাকা বাড়িয়ে ১০৭ প্যাকেটজাত চিনির কেজি টাকা বাড়িয়ে ১১২ টাকায় বিক্রি হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে।

মূল্যবৃদ্ধিকে অবশ্য যৌক্তিক বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পর রাজধানীর মতিঝিলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দাম তখনই বাড়ানো হয় যখন প্রয়োজন হয়। আমাদের ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আছে, তারা এগুলো হিসাব করে। যে দামটা হওয়া উচিত সেটা হিসাব-নিকাশ করেই তারা কিছুটা বাড়িয়েছে। যদি এটা বাড়ানো না হতো, তাহলে ফলাফল হবে কী? বাজারে চিনিই পাওয়া যাবে না। সেসব বিবেচনা করেই তারা দাম বাড়িয়েছে।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর খুচরা পর্যায়ে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেবার প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ থেকে ১২ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছিল ১০৭ টাকা। আর প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম বাড়িয়ে ১০২ টাকা করা হয়েছিল। তবে বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি খোলা চিনি বর্তমানে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর মধ্যেই অনেকটা হুট করে চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন সংগঠনের নেতারা। আলোচনার মাধ্যমে প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১১২ টাকা এবং খোলা চিনি ১০৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। নতুন দাম আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে, অপরিশোধিত চিনির আন্তর্জাতিক বাজারদর বৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

দেশের চিনিকলগুলো উৎপাদন বন্ধ করে দেয়ায় সমস্যা আরো বড় হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে টিপু মুনশি বলেন, এর কোনো প্রভাব নেই। দেশে যারা চিনি উৎপাদন করেন, সেটা স্থানীয় চিনির চাহিদার শতাংশও না। সেটা আমাদের চিনির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব বিস্তার করে না। আমাদের ২০ লাখ টন চিনি দরকার। অথচ দেশে উৎপাদন ৫০ হাজার টনও নয়। তাই নির্ভর করতে হয় আমদানির ওপর। বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়েছে। যার জন্য সমস্যাটা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি, যেন ডিউটি কমিয়ে দেয়া হয়। ডিউটি কমানো হলে বাজারে এর প্রভাব দেখা যেতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন