ফার কেমিক্যাল-এসএফ টেক্সটাইল

একীভূতকরণ স্কিমে হাইকোর্টের অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ রসায়ন খাতের কোম্পানি ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গে এসএফ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের একীভূতকরণ স্কিম অনুমোদন করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। আদালতের রায় নির্দেশনা অনুসারে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।

একীভূতকরণ স্কিম অনুসারে, এসএফ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের সব সম্পদ দায় ফার কেমিক্যালের অনুকূলে হস্তান্তর করা হবে। দুই কোম্পানি বিদ্যমান সব ইকুইটি শেয়ার বাতিল করা হবে। ফার কেমিক্যালের সঙ্গে : দশমিক ৯৬১৪ অনুপাতে এসএফ টেক্সটাইলের শেয়ার বিনিময় করা হবে। ফার কেমিক্যালকে এসএফ টেক্সটাইলের শেয়ারধারীদের কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৬৩০টি শেয়ারের বিপরীতে নিজেদের কোটি লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫টি শেয়ার ইস্যু করতে হবে। এক্ষেত্রে এসএফ টেক্সটাইলের বিদ্যমান দশমিক ৯৬১৪টি শেয়ারের বিনিময়ে ফার কেমিক্যালের ১টি নতুন শেয়ার ইস্যু করতে হবে। ফার কেমিক্যালের বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা ২১ কোটি ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ৪২৩টি শেয়ারের বিনিময়ে নতুন করে কোম্পানিটির কোটি ২৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮০৮টি শেয়ার ইস্যু করতে হবে। এক্ষেত্রে একীভূতকরণের আগে থাকা ফার কেমিক্যালের বিদ্যমান ৩টি শেয়ারের বিপরীতে একীভূতকরণের পরে নতুন করে ১টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। 

এসএফ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রডাকশন ইউনিট নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফার কেমিক্যালের নিজস্ব জমিতে অবস্থিত। কোম্পানিটি ২০১৬ সাল থেকে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ৪২ হাজার ২৫০ স্পিন্ডল কটন, ভিসকস সিভিসি ইয়ার্ন স্পিনিং উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে এসএফ টেক্সটাইলের।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ। স্পিনিং ইউনিট সম্প্রসারণ সংরক্ষিত আয়ের কারণে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে লোকসান ছিল ১৬ পয়সা।

এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ফার কেমিক্যাল। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৩৩ পয়সা।

এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ফার কেমিক্যাল। তার আগের দুই হিসাব বছরেও একই হারে স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

এদিকে চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল পয়সায়। বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা পয়সায়।

২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২১৮ কোটি লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২১ কোটি ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ৪২৩। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৫৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ফার কেমিক্যাল শেয়ারের সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন