পর্তুগাল দলে সবচেয়ে বড় তারকা মনে করা হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। তবে ক্যামেরা এবং
শিরোনামের আড়ালে থাকা ব্রুনো ফার্নান্দেস এবার তার জাত চেনাচ্ছেন। কাতার বিশ্বকাপে
ব্রুনোর কারিশমা ম্লান করে দিচ্ছে রোনালদোকেও। গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচ হাতে রেখেই
নকআউটি পর্ব নিশ্চিতে তার অবদান মনে রাখার মতো।
শুক্রবারের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পর্তুগাল। এ ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন ব্রুনোর। তিনি না থাকায় ম্যাচের হিসেবই বদলে গিয়েছে। পর্তুগালের বাজে পারফরম্যান্সে হতাশ হয়েছিলেন সমর্থকরা। ফার্নান্দেসের অভাবে অনেকগুলো স্পষ্ট সুযোগ হাতছাড়া করতে হয়েছে তাদের। শেষপর্যন্ত ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে রোনালদোর টিম।
এদিন মাঠে ব্রুনোকে না দেখে রীতিমত বিরক্ত হয়েছিলেন পর্তুগালের দর্শকরা।
তাদের সব ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে রোনালদোর ওপর। ব্রুনোকে ঘরে রেখে ছন্দে না থাকা
রোনালদোকে নামানোয় অনেকেই কোচের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। ফলে
দর্শক-সমর্থকদের মধ্যে যে ব্রুনো এরই মধ্যে রোনালদোর বিকল্প সম্ভাবনা হয়ে উঠেছেন
তা মনে করাই যায়। অবশ্য ম্যাচে হারলেও নকআউট পর্ব নিশ্চিত ছিল তাদের। আজ রাত ১টায়
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে পর্তুগাল।
দারুণ ছন্দে রয়েছেন ২৮ বছর বয়সী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ মিডফিল্ডার। ক্লাব
থেকে জাতীয় দল, সবখানেই ধরে রেখেছেন দুর্দান্ত ছন্দ। চলতি বিশ্বকাপে তিনি এরই
মধ্যে দুটি গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন। সামনের ম্যাচগুলোতে হয়তো তার মুকুটে
যুক্ত হবে সাফল্যের আরো পালক। তবে কি তিনিই হয়ে উঠছেন আগামীর রোনালদোহীন পর্তুগালের
নতুন নায়ক?