জনগণের
জীবনযাপনের
মান
কেমন,
সে
সম্পর্কে
ধারণা
লাভের
জন্য
প্রতিটি
দেশে
নির্দিষ্ট
সময়
অন্তর
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ
করা
হয়।
দারিদ্র্যের
হার,
সাক্ষরতা,
স্কুলে
ভর্তি
ও
ঝরে
পড়ার
হার,
পেশাগত
জনসংখ্যা,
প্রতিবন্ধীর
সংখ্যা,
অভিবাসন,
বিদ্যুৎ
ব্যবহারকারী,
দেশবাসীর
খাদ্যাভ্যাস,
মাথাপিছু
ক্যালরি
গ্রহণের
পরিমাণ,
খানার
মাসিক
আয়
ও
ব্যয়,
খাদ্যের
পেছনে
ব্যয়,
ভোগ্যপণ্যে
ব্যয়,
কর্মসংস্থান
ইত্যাদি
তথ্য
জানা
যায়
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপের
মাধ্যমে।
বাংলাদেশেও
এ
জরিপ
হয়,
কিন্তু
অনিয়মিত।
বর্তমানে
আমরা
যে
তথ্য
পাচ্ছি,
সেটি
অনেক
পুরনো,
বিশেষ
করে
করোনার
আগে।
ফলে
জনগণের
ওপর
করোনা,
উচ্চমূল্যস্ফীতি
ও
অর্থনৈতিক
পরিবর্তনের
প্রভাব
সম্পর্কে
সুস্পষ্ট
ধারণা
মিলছে
না।
করোনার আগেই
দারিদ্র্য
হ্রাসের
গতি
কমেছে,
বাড়ছিল
সম্পদের
বৈষম্য।
আগের
জরিপ
অনুযায়ী
দেশে
দারিদ্র্যের
হার
কমার
প্রবণতা
ক্রমেই
দুর্বল
হচ্ছে।
২০০০
সালে
বাংলাদেশে
দারিদ্র্যের
হার
ছিল
৪৮
দশমিক
৯
শতাংশ।
পরের
পাঁচ
বছরে
১
দশমিক
৭৮
শতাংশীয়
মানে
কমে
দারিদ্র্যের
হার
দাঁড়িয়েছে
৪০
শতাংশে।
আর
২০১০
সালে
দারিদ্র্যের
হার
ছিল
সাড়ে
৩১
শতাংশ।
২০০৫-১০
সময়ে
প্রতি
বছর
গড়ে
১
দশমিক
৭
শতাংশীয়
মানে
দারিদ্র্য
কমেছে।
এর
পরের
ছয়
বছরে
দারিদ্র্য
কমেছে
গড়ে
১
দশমিক
২
শতাংশীয়
মানে।
২০১৬
সালের
তথ্যেই
বলা
হয়েছে,
গরিবদের
আয়
বৃদ্ধির
সুযোগ
কমে
গেছে,
ধনীদের
তা
বেড়েছে।
বাংলাদেশ
পরিসংখ্যান
ব্যুরো
(বিবিএস) বলছে,
দেশের
সব
মানুষের
যত
আয়,
এর
মাত্র
১
দশমিক
শূন্য
১
শতাংশ
আয়
করেন
সবচেয়ে
গরিব
১০
শতাংশ
মানুষ।
ছয়
বছর
আগেও
মোট
আয়ের
২
শতাংশ
এই
শ্রেণীর
মানুষের
দখলে
ছিল।
অন্যদিকে
সবচেয়ে
ধনী
১০
শতাংশ
মানুষের
আয়
মোট
আয়ের
৩৮
দশমিক
১৬
শতাংশ।
ছয়
বছর
আগে
এর
পরিমাণ
ছিল
৩৫
দশমিক
৮৪
শতাংশ।
বিবিএস
জরিপে
আরো
বলা
হয়েছে,
দেশের
মোট
আয়ের
দুই-তৃতীয়াংশের
মালিক
ওপরের
দিকে
থাকা
৩০
শতাংশ
মানুষ।
বিবিএসের
‘খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ-২০১০’
(হায়েস-২০১০)
তথ্য
মতে,
দেশে
জাতীয়
জিনি
সহগ
ছিল
শূন্য
দশমিক
৪৫৮,
যেখানে
গ্রামে
শূন্য
দশমিক
৪৩১
ও
শহরে
শূন্য
দশমিক
৪৫২
শতাংশ
ছিল।
‘খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ-২০১৬’
(হায়েস-২০১৬)
তথ্য
মতে,
জাতীয়
জিনি
সহগ
হয়ে
দাঁড়াল
শূন্য
দশমিক
৪৮২,
যেখানে
গ্রামে
শূন্য
দশমিক
৪৫৪
ও
শহরে
শূন্য
দশমিক
৪৯৮
শতাংশ।
অর্থাৎ
জিনি
সহগ
উদ্বেগজনক
বেড়েছে।
এ
জরিপ
যদিও
ছয়
বছর
আগের
তথ্য,
এখনকার
অবস্থা
নিশ্চয়ই
সুখকর
হবে
না।
অন্যদিকে
জীবনযাত্রার
ব্যয়ও
বাড়ছে
দ্রুত।
শুধু
রাজধানী
ঢাকা
নয়,
গ্রামের
মানুষ
আছেন
আরো
বিপাকে।
২০১০
সালের
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপে
দেখা
গিয়েছিল,
তাদের
গড়
আয়ের
পরিমাণ
মোট
ব্যয়ের
চেয়ে
বেশি।
তারা
মাসে
৩৬
টাকা
সাশ্রয়
করতে
পারতেন।
২০১৬
সালে
দেখা
এসে
তাদের
মাসিক
ব্যয়-আয়ের
চেয়ে
২৮৮
টাকা
বেশি।
এ সবই
করোনা
মহামারী-পূর্ববর্তী
তথ্য।
পুরনো
তথ্য
দিয়ে
দেশের
মানুষের
প্রকৃত
অবস্থা
বোঝা
যাবে
না।
বিশেষ
করে
দারিদ্র্য,
মানুষের
আয়-ব্যয়-ভোগ,
অসমতার
তথ্য
অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
এরই
মধ্যে
করোনা
মহামারীর
মতো
দুর্যোগ
গেছে।
এছাড়া
গত
৫০
বছরেও
বিশ্ববাজার
এত
অস্থির
হয়নি।
এ
প্রেক্ষাপটে
হালনাগাদ
তথ্য
খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ
হয়েছিল
২০১৬
সালে।
এর
মাধ্যমে
দেশের
দারিদ্র্য
কত?
সম্পদের
বণ্টনের
কী
অবস্থা
ইত্যাদি
নানা
গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য
উঠে
আসে।
ছয়
বছর
অতিবাহিত
হয়েছে
কিন্তু
এখনো
নতুন
কোনো
জরিপ
করা
হয়নি।
ফলে
বর্তমান
পরিকল্পনায়
আগের
পুরনো
তথ্যই
ব্যবহূত
হচ্ছে।
‘খানার
আয়-ব্যয়
জরিপ’
এখন
নতুন
করে
করার
প্রক্রিয়া
চলছে
বলে
জানা
গিয়েছে।
এ
জরিপের
মাধ্যমে
দেশের
দারিদ্র্য
হার,
মানুষের
আয়,
মাথাপিছু
খাদ্য
গ্রহণ,
শিক্ষার
হার,
ধনী
ও
গরিবের
মধ্যে
আয়
বৈষম্য
ইত্যাদি
তুলে
আনা
হবে।
করোনা
মহামারী
চলাকালে
দেশের
কর্মসংস্থান
এবং
অর্থনীতিতে
কী
প্রভাব
পড়েছে
এ-সংক্রান্ত
একটি
জরিপ
মোবাইলের
মাধ্যমে
করা
হয়েছিল
বলে
খবর
মেলে।
কিন্তু
সেটির
তথ্য
জনসম্মুখে
প্রকাশ
করা
হয়নি
এখনো।
খানা
আয়-ব্যয়ের
জরিপ-পূর্ববর্তী
একটি
পাইলট
প্রকল্প
হাতে
নেয়া
হয়েছে,
সেটির
তথ্যও
অপ্রকাশিত।
সামাজিক নিরাপত্তা
কার্যক্রম
এবং
যেকোনো
দুর্যোগে
সহায়তা
কার্যক্রমের
সম্ভাব্য
সুবিধাভোগীদের
দ্রুত
চিহ্নিত
করতে
২০১৩
সালে
একটি
কার্যক্রম
হাতে
নেয়
বিবিএস।
আয়ের
ভিত্তিতে
দেশের
সব
মানুষের
তথ্যভাণ্ডার
তৈরি
করতে
নেয়া
ন্যাশনাল
হাউজহোল্ড
ডাটাবেজ
(এনএইচডি) প্রকল্পের
কাজ
শেষ
হয়নি
এখনো।
এ
প্রকল্পের
উদ্দেশ
ছিল
দেশের
সব
খানার
আয়,
ব্যয়,
সামাজিক
অবস্থান
প্রভৃতির
তথ্যভাণ্ডার
তৈরি
করা।
যাতে
সামাজিক
সুরক্ষা
কর্মসূচির
সুবিধাভোগী
সহজেই
চিহ্নিত
করা
যায়।
জাতীয়
খানা
তথ্যভাণ্ডারের
কাজ
শেষ
করতে
না
পারায়
বিভিন্ন
সমস্যা
সৃষ্টি
হয়েছে।
করোনায়
প্রকৃত
বিপদগ্রস্তদের
সবার
কাছে
সহায়তা
পৌঁছে
দেয়া
সম্ভব
হয়নি।
তাছাড়া
তথ্যভাণ্ডারটি
২০১৮
সালের
পরিবারগুলোর
তথ্য
দিয়ে
তৈরি
করা
হচ্ছে।
ফলে
প্রকল্পটি
শেষ
হলেও
করোনা
ও
অর্থনীতির
বর্তমান
অভিঘাতে
নতুন
করে
কারা
গরিব,
কারা
দারিদ্র্যসীমার
ওপরে
আছেন,
তার
সঠিক
তথ্য
জানা
নিয়ে
শঙ্কা
রয়েছে।
এমনকি
তথ্য
হালনাগাদ
কীভাবে
করা
হবে,
সেই
কৌশলও
ঠিক
হয়নি।
তথ্যভাণ্ডার
তৈরির
কাজটি
সময়মতো
না
হওয়া
করোনার
সময়
সরকার
একে
ব্যবহার
করতে
পারেনি।
সরকার
৫০
লাখ
পরিবারকে
নগদ
প্রণোদনা
দেয়ার
উদ্যোগ
নিয়েছিল।
সেখানে
প্রকৃত
ক্ষতিগ্রস্তদের
সহজেই
চিহ্নিত
করা
সম্ভব
হতো।
২০১৩
সালে
নেয়া
প্রকল্পটির
প্রথম
দুই
বছর
শুধু
কীভাবে
তথ্য
সংগ্রহ
করা
হবে,
এর
কৌশল
ঠিক
করতেই
চলে
যায়।
তিন
দফায়
সব
মিলিয়ে
সাড়ে
তিন
কোটি
পরিবারের
প্রতিটি
পরিবারের
প্রধানের
সাক্ষাত্কার
নেয়া
হয়।
নাম,
ঠিকানা,
বয়স,
পরিবারের
সদস্যসংখ্যা
ও
তাদের
যাবতীয়
তথ্য,
পরিবারের
উপার্জনক্ষম
ব্যক্তি
কতজন,
তাদের
আয়কর
কত,
সম্পদের
পরিমাণ,
বাড়িঘর
কী
দিয়ে
বানানো—সব
মিলিয়ে
৩৫
ধরনের
তথ্য
নেয়া
হয়।
এসব
তথ্যের
ভিত্তিতে
একটি
স্কোর
তৈরি
করা
হবে,
যাতে
ওই
ব্যক্তির
আর্থিক
ও
সামাজিক
অবস্থান
কী,
তা
বোঝা
যায়।
২০১৮
সালের
অক্টোবর
মাসের
মধ্যে
তথ্য
সংগ্রহের
পর
ইলেকট্রনিক
ফরম্যাট
বা
কম্পিউটারে
সংরক্ষণ
ও
বিশ্লেষণ
চলছে।
পরিবারের
আর্থিক
ও
সামাজিক
শ্রেণিবিভাজনের
কাজও
চলমান।
খরচ
ধরা
হয়
৩২৯
কোটি
টাকা।
মেয়াদ
ছিল
সাড়ে
চার
বছর।
সময়মতো
কাজ
শেষ
করতে
না
পারায়
প্রকল্পটির
খরচ
বেড়ে
দাঁড়িয়েছে
৭২৭
কোটি
টাকা।
এরই
মধ্যে
নয়
বছর
অতিবাহিত
হয়েছে।
জাতীয়
খানাভিত্তিক
তথ্যভাণ্ডার
তৈরির
অন্যতম
উদ্দেশ্য
হলো,
সামাজিক
নিরাপত্তা
কর্মসূচির
মাধ্যমে
দেশের
প্রকৃত
গরিবদের
সরকারি
সহায়তা
দেয়া।
যেমন
একটি
উপজেলায়
কতজন
বিধবা
নারী,
কতজন
হতদরিদ্র,
কতজন
পরিবারের
সন্তান
স্কুলে
যাচ্ছে,
এ
ধরনের
তথ্য
জানা
যেত।
এছাড়া
কারা
আবার
দারিদ্র্য
হওয়ার
ঝুঁকিতে
আছে,
তাও
বোঝা
যেত।
তাহলে
সামাজিক
সুরক্ষা
কর্মসূচি
পরিচালনাকারী
সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়গুলো
সহজেই
তথ্যভাণ্ডার
ব্যবহার
করে
প্রকৃত
সুবিধাভোগী
চিহ্নিত
করে
সুরক্ষা
সহায়তা
পৌঁছে
দিতে
পারত।
করোনার
সময়
তথ্যভাণ্ডারটির
অভাব
তীব্রভাবে
অনুভূত
হয়েছে,
এখনো
হচ্ছে।
দরিদ্র মানুষের
আয়,
ব্যয়,
জীবনযাত্রার
মান
নির্ধারণসহ
বেশকিছু
গুরুত্বপূর্ণ
জরিপ
বন্ধ
রয়েছে।
স্বাধীনতার
পর
থেকে
ঢাকা
মহানগরীর
মধ্যবিত্ত
পরিবারগুলোর
জন্য
পৃথক
একটি
ভোক্তা
মূল্যসূচক
প্রকাশের
ধারবাহিকতা
থাকলেও
১৯৯৭-৯৮
অর্থবছরের
পর
এ-সংক্রান্ত
কোনো
তথ্য
প্রকাশ
করছে
না
বিবিএস।
কৃষি
পণ্যের
পাইকারি
ও
খুচরা
দামের
মধ্যে
বড়
ধরনের
পার্থক্য
থাকায়
উৎপাদক
ও
ভোক্তারা
ঠকছেন।
অথচ
২০০৫-০৬
অর্থবছর
থেকে
এ
বিষয়ে
প্রতিবেদন
প্রকাশ
করা
বাদ
দিয়েছে
বিবিএস।
নারায়ণগঞ্জ,
চট্টগ্রাম
ও
খুলনার
শিল্প
শ্রমিকদের
জীবনযাত্রার
ব্যয়সূচক
প্রতিবেদনটিও
প্রকাশ
হচ্ছে
না
একই
অর্থবছর
থেকে।
প্রকাশ
হচ্ছে
না
শিল্পশ্রমিকদের
ভোক্তা
মূল্যসূচক
ও
প্রকৃত
মজুরি
হার।
দেশের
শ্রমবাজারের
গতিপ্রকৃতি
তুলে
ধরতে
তিন
মাস
অন্তর
শ্রমশক্তি
জরিপ
করার
কথা
থাকলেও
২০১৬-১৭
অর্থবছরের
পর
এমন
কোনো
আয়োজন
করেনি
বিবিএস।
মাথাগুনতি
দারিদ্র্য
হার,
খানাপ্রতি
আয়,
ব্যয়,
সঞ্চয়,
খাবার
গ্রহণের
প্রবণতা
এবং
অসমতাসহ
আর্থসামাজিক
বিভিন্ন
সূচকের
সর্বশেষ
পরিস্থিতি
তুলে
ধরতে
২০১৫-১৬
অর্থবছরের
পর
করা
হয়নি
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ
বা
হাউজহোল্ড
ইনকাম
অ্যান্ড
এক্সপেন্ডিচার
সার্ভে
(এইচআইইএস)।
এর
ফলে
দেশের
আর্থসামাজিক
অনেক
সূচকের
তথ্য
দিতে
পারছে
না
বিবিএস।
কিছু
তথ্য
প্রকাশ
করলেও
তা
অপূর্ণাঙ্গ
ও
অনুমাননির্ভর।
খানা আয়-ব্যয়
জরিপের
মান
ও
বিস্তৃতির
কারণে
শহর
এবং
গ্রামে
দারিদ্র্য
সম্পর্কে
স্পষ্ট
ধারণা
লাভ
করা
যায়।
এটি
থেকে
শুধু
দরিদ্রের
সংখ্যা
সম্পর্কেই
ধারণা
পাওয়া
যায়
না,
তাদের
জীবনযাপনের
মান,
পুষ্টি,
আয়-ব্যয়,
সম্পদের
অবস্থা,
শিক্ষা,
স্বাস্থ্য,
মূল্যস্ফীতির
প্রভাব
ও
পরবর্তী
অবস্থাও
বোঝা
যায়।
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপের
মাধ্যমে
পুরো
দেশের
খানার
ভোগ
ও
চাহিদার
তথ্য
মেলে,
যা
সরকারকে
অবস্থা
বুঝে
ব্যবস্থা
গ্রহণে
সহায়তা
করে।
এটি
বিভিন্ন
সামাজিক
নিরাপত্তা
কার্যক্রমের
ফল
সম্পর্কেও
ধারণা
প্রদান
করে।
বসতবাড়ির
অবস্থা,
কর্মসংস্থান,
বিশুদ্ধ
পানির
প্রাপ্যতা
ও
স্বাস্থ্যসম্মত
স্যানিটেশন,
রেমিট্যান্স,
অভিবাসন,
ক্ষুদ্রঋণ,
দুর্যোগ
মোকাবেলা
প্রভৃতির
তথ্য
পাওয়া
যায়।
সর্বোপরি
এর
মাধ্যমে
পুরো
অর্থনীতির
একটি
পূর্ণাঙ্গ
চিত্র
পাওয়া
যায়,
যা
সরকার
তো
বটে
বেসরকারি
খাতের
পরিকল্পনা
গ্রহণের
জন্য
প্রয়োজনীয়।
বেসরকারি
খাত
কার
জন্য
কি
পণ্য
উৎপাদন
করবে,
কোথায়
কোন
পণ্যের
চাহিদা
কেমন
হবে,
কতটুকু
উৎপাদন
করবে,
কোথায়
এর
বিক্রি
হবে
প্রভৃতি
সিদ্ধান্ত
গ্রহণেও
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ
সহায়তা
করে।
ফলে
শুধু
সরকার
নয়,
ব্যক্তি
খাতের
জন্যও
হালনাগাদ
বিশদ
তথ্য
প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সরকারের
অন্যতম
চ্যালেঞ্জ
দারিদ্র্য
নিরসন।
কভিডে
একটি
আর্থসামাজিক
সমস্যা
হিসেবে
এর
গুরুত্ব
বেড়েছে।
গত
দুই
বছরে
পরিচালিত
বেশ
কয়েকটি
সমীক্ষায়
পরিবারের
আয়-ব্যয়ের
ওপর
মহামারীর
প্রভাব
পর্যালোচনা
করা
হয়েছে।
করোনার
কারণে
কাজ
হারিয়ে
নতুন
করে
কোটির
ওপর
মানুষ
দারিদ্র্য
হয়েছে
বলে
বিভিন্ন
সংস্থার
পক্ষ
থেকে
দাবিও
করা
হয়েছে।
কিন্তু
সরকারের
পক্ষ
থেকে
এমন
পরিসংখ্যানের
কোনো
স্বীকৃতি
দেয়া
হচ্ছে
না।
ফলে
নতুন
দারিদ্ররা
সরকারের
সহায়তাপ্রাপ্তি
থেকে
বঞ্চিত
থাকছে।
বিশেষত
যখন
দেশের
ভবিষ্যৎ
উন্নয়ন
পরিকল্পনার
কথা
আসে,
তখন
সঠিক
অর্থনৈতিক
ও
সামাজিক
তথ্য-উপাত্ত
থাকা
জরুরি।
সাধারণত
বিবিএসের
তথ্যের
ওপর
ভিত্তি
করে
বিভিন্ন
উন্নয়ন
পরিকল্পনা
তৈরি
ও
তা
বাস্তবায়ন
করা
হয়।
এক্ষেত্রে
হালনাগাদ
তথ্য
খুবই
জরুরি।
না
হলে
পরিকল্পনার
উদ্দেশ্য
ব্যাহত
হয়।
কিন্তু
সরকার
ও
নীতিনির্ধারকদের
প্রায়ই
পুরনো
তথ্যের
ওপর
নির্ভর
করে
সিদ্ধান্ত
গ্রহণ
করতে
হচ্ছে।
এতে
বরাদ্দ
ও
ব্যয়
বাড়লেও
ক্ষতিগ্রস্ত
এবং
ভুক্তভোগীদের
একটি
বড়
অংশ
সুবিধা
থেকে
বঞ্চিতই
থেকে
যাচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার
ভঙ্গুর
অর্থনীতির
দেশ
শ্রীলংকা।
বর্তমানে
অর্থনৈতিক
সংকটে
বিপর্যস্ত।
২
কোটি
২০
লাখ
জনসংখ্যার
এ
দেশটিও
প্রতি
তিন
বছর
পরপর
নিয়মিত
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ
করে
আসছে।
দেশটি
২০১৯
সালে
সর্বশেষ
খানা
জরিপ
করে।
তাদের
নমুনার
সংখ্যাও
কম
নয়,
২৫
হাজার
মানুষের
ওপর
পুরো
এক
বছরব্যাপী
চলে
তাদের
এ
জরিপ
কার্যক্রম।
সেখান
থেকে
মৌসুমভিত্তিক
মানুষের
জীবনমান,
আয়,
ব্যয়সহ
শিক্ষা,
স্বাস্থ্য,
অভিবাসন
প্রভৃতি
অবস্থান
বোঝা
যায়।
এর
ওপর
ভিত্তি
করে
তারা
পরিকল্পনা
গ্রহণ
ও
তা
বাস্তবায়ন
করে।
ভারতও
নিয়মিত
বিরতিতে
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ
করে
আসছে।
তারা
এর
নাম
দিয়েছে
‘লিভিং
ইন
ইন্ডিয়া
সার্ভে’।
এ
জরিপটি
ন্যাশনাল
কাউন্সিল
অব
অ্যাপ্লায়েড
ইকোনমিক
রিসার্চের
অধীনে
পরিচালিত
হয়।
প্রায়
এক
লাখ
মানুষের
ওপর
তারা
জরিপ
করে।
জাপানে
প্রতি
মাসেই
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ
করা
হয়।
দেশটি
নমুনা
বাছাইয়ে
বেশ
সতর্ক।
সেখানে
বাংলাদেশে
পাঁচ
বছরেও
একবার
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ
পরিচালনা
করতে
পারছে
না।
তার
ওপর
নমুনার
সংখ্যাও
কম।
সাড়ে
১৬
কোটি
মানুষের
মধ্যে
৪৬
হাজারের
কিছু
বেশি
মানুষের
তথ্য
সংগ্রহ
করা
হয়েছে
২০১৬
সালের
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপে,
আগে
এটি
ছিল
আরো
কম।
কভিডের আগে
প্রতি
চারজনে
একজন
দারিদ্র্যসীমার
নিচে
বসবাস
করত।
তত্কালে
দারিদ্র্যের
সংখ্যা
কমিয়ে
আনতে
নানা
সামাজিক
নিরাপত্তামূলক
কর্মসূচিও
হাতে
নেয়া
হয়েছিল।
তাছাড়া
মহামারী
চলাকালীন
দারিদ্র্যদের
জন্য
প্রয়োজনীয়
খাদ্য
ও
নগদ
সহায়তা
প্রদান
এবং
খোলাবাজারে
নিত্যপণ্য
বিক্রির
মতো
পদক্ষেপও
নেয়া
হয়েছিল।
কয়েকটি
কর্মসূচি
এখনো
অব্যাহত
রয়েছে।
সরকারের
এসব
সামাজিক
নিরাপত্তা
কর্মসূচিগুলো
এখনো
২০১৬
সালের
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপের
ওপর
নির্ভর
করে
পরিচালিত
হচ্ছে।
কিন্তু
করোনা
এবং
উচ্চ
মূল্যস্ফীতির
প্রভাবে
সৃষ্ট
নতুন
দারিদ্র্য
বা
ক্ষতিগ্রস্ত
জনগোষ্ঠীর
কোনো
তথ্য
সরকারের
কাছে
নেই।
করোনা
মহামারী
থেকে
আর্থসামাজিক
পরিবর্তন,
রাশিয়া-ইউক্রেন
যুদ্ধ-পরবর্তী
উচ্চ
মূল্যস্ফীতি,
সর্বশেষ
জ্বালানি
ও
নির্মাণ
সামগ্রীর
মূল্যবৃদ্ধির
প্রেক্ষাপটে
নতুন
খানা
আয়-ব্যয়
জরিপ
জরুরি
হয়ে
উঠেছে।
বৈশ্বিক
ও
জাতীয়
পরিস্থিতি
উভয়ই
খুব
দ্রুত
পরিবর্তিত
হচ্ছে,
ফলে
পরিকল্পনা
গ্রহণে
২০১৬
সালের
খানার
তথ্য
ব্যবহার
যুক্তিযুক্ত
নয়।
যত
তাড়াতাড়ি
সম্ভব
নতুন
জরিপ
পরিচালনা
ও
সরকারের
নীতিগুলো
সঠিক
নির্ভরযোগ্য
তথ্যের
ওপর
ভিত্তি
করে
সাজানো
প্রয়োজন।
এম এম মুসা: সহযোগী সম্পাদক, বণিক বার্তা