পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের পর্ষদ ব্যবসা সম্প্রসারণে বন্ড ইস্যু ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানি একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
সিদ্ধান্ত অনুসারে, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং কনভার্টিবল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। পাশাপাশি পাঁচটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে মূল কোম্পানির সঙ্গে একীভূত করা হবে। এসব সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে এ বছরের ২৩ আগস্ট ডিজিটাল প্লাটফর্মে ইজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ জুলাই।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৯ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩৬ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩০ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সায়।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা পেয়েছেন ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আর সব ধরনের শেয়ারহোল্ডার পেয়েছেন ৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫২ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ১৭ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১২ টাকা ২৮ পয়সা।
এর আগে ২০২০ হিসাব বছরের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা পেয়েছেন ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আর সব ধরনের শেয়ারহোল্ডার পেয়েছেন ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। তার আগের হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি একই হারে স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।